বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের এমন পদক্ষেপের ফলে দুইদেশের মধ্যকার সম্পর্কে এক বিরাট খারাপ ভূমিকা পালন করবে। যা কখনোই চলমান বাণিজ্য আলোচনার সহায়ক হবে না।’
এ দিকে অঞ্চলটিতে চলমান নিপীড়নের জন্য অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনগুলো জাতিসংঘের কাছে নিজেদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। যেখানে উইঘুর মুসলিমদের গণহারে আটক এবং নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছেন তারা। যদিও চীনা প্রশাসন শুরু থেকেই এসব অভিযোগকে অস্বীকার করে আসছে।
অপর দিকে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের মানবাধিকার কমিটির কাছে এরই মধ্যে সদস্য ২৩টি দেশের একটি যৌথ বিবৃতি উপস্থাপন করেন সংস্থাটিতে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত কারেন পিয়ার্স। বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আমরা চীনা প্রশাসনকে তাদের অভ্যন্তরীণ আইন এবং আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা মেনে চলার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। একই সঙ্গে জিনজিয়াংসহ গোটা দেশের ধর্ম ও বিশ্বাসের স্বাধীনতাসহ মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করতেও বলছি।’
বিশ্লেষকদের মতে, বর্তমানে চীনে উইঘুর সম্প্রদায়ের প্রায় দেড় কোটি মুসলমানের বসবাস। তাছাড়া জিনজিয়াং প্রদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেকের কাছাকাছি হচ্ছে এই উইঘুর মুসলিম। প্রদেশটি তিব্বতের মতো স্বশাসিত একটি অঞ্চল। যে কারণে সেখানে বিদেশি মিডিয়া প্রবেশের বিষয়ে কঠোর বিধিনিষেধ রয়েছে।
যদিও গত বেশ কয়েক বছর যাবত বিভিন্ন সূত্রের বরাতে গণমাধ্যমগুলো জানায়, সেখানে বসবাসরত উইঘুরসহ ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের ব্যাপকভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে। এমনকি বিভিন্ন সময় তাদের আটকও করা হচ্ছে। এশিয়ার পরাশক্তি খ্যাত এই দেশটিতে হান চাইনিজরাই হচ্ছেন সংখ্যাগুরু। যেখানে তাদের তুলনায় মুসলিম উইঘুরদের সংখ্যা অতি নগণ্য। dainiksokal