কোনো রকম রাখঢাক না করে জো বাইডেন বলেন, এশীয়-আমেরিকানদের বিরুদ্ধে হিংসা হু-হু করে বাড়ছে যুক্তরাষ্ট্রে। বিদেশিদের ঘৃণা করা ও জাতিবিদ্বেষের ঘটনাগুলোকে যুক্তরাষ্ট্র আর মেনে নিতে পারে না।
এদিকে গত সপ্তাহে আটলান্টার তিনটি ম্যাসাজ পার্লার তথা স্পা-তে আটজনকে গুলি করে হত্যা করে ২১ বছরের শ্বেতাঙ্গ যুবক রবার্ট এ লং।
তদন্তকারীরা অর্থনৈতিক উদ্বেগ ও যৌন আসক্তিকে ওই হত্যাকাণ্ডের কারণ হিসেবে চালানোর চেষ্টা করলে অনেকেই তার প্রতিবাদ করেন।
বলা হয়, ঘটনাটি তার চেয়েও বেশি কিছু। নিহতদের মধ্যে ছয়জনই এশীয় আমেরিকান নারী। অনেকেই এই বলে সরব হন যে এর পেছনে রয়েছে এশীয় আমেরিকান ও নারীদের প্রতি ঘৃণা।
জো বাইডেন বলেন, এই ঘৃণার বিষ দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রকে তাড়া করে বেড়াচ্ছে। বহু সময় এসব নিয়ে নীরব থাকা হয়। কিন্তু নীরব থাকা মানে মেনে নেওয়া। আমাদের বলতেই হবে এসবের কথা। কিছু করতেই হবে।
জানা গেছে, এশীয়-আমেরিকান ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপগুলোর বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক আচরণের তিন হাজার আটশ ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে গত এক বছরে। কোথাও শারীরিক বা মৌখিক আক্রমণ, কোথাও বৈষম্য বা নাগরিক অধিকার না দেওয়ার মতো ঘটনা। সমাজকর্মীদের দাবি, অনেক ক্ষেত্রেই অভিযোগ করা হয় না। চোরাগোপ্তাভাবে চলতেই থাকে ঘটনাগুলো। আনন্দবাজার।