
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন: বাংলাদেশের ত্রাণ সংস্থার কর্মকর্তাগণ এবং স্বেচ্ছাসেবকরা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আগুনে ধ্বংস হওয়া শিবির পুনর্নির্মাণ কাজ শুরু করেছে।
গত সোমবার বিকেল ৪টার দিকে বালুখালী রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে প্রায় সাত ঘণ্টার আগুনে ১৫ জনের মৃত্যুসহ ৯ হাজার ৩০০ ঘরবাড়ি, ১৩৬টি লার্নিং সেন্টার, ক্লিনিক, মূল্যবান জিনিসপত্র, শিক্ষা কেন্দ্র, বাজার এবং সহায়তা বিতরণ কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (IOM) এর মতে, ১০ হাজারেরও বেশি পরিবার বাড়িঘর হারিয়েছেন।
এদিকে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) শাহ্ রেজওয়ান হায়াত সাংবাদিকদের জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় রোহিঙ্গাদের জন্য তাঁবুর ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইতিমধ্যে রোহিঙ্গারা নিজ নিজ বসতিতে ফেরা শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার বিকেলের মধ্যে বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সব রোহিঙ্গাকে ক্যাম্পে ফেরত আনা হবে।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে বাংলাদেশ পালিয়ে আশ্রয় নেয় আট লাখ রোহিঙ্গা। এর আগে আসে আরও দুই লাখ। বর্তমানে উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি আশ্রয়শিবিরে নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা সাড়ে ১১ লাখ। এর মধ্যে উখিয়ার ২৩টি আশ্রয়শিবিরে রোহিঙ্গা আছে প্রায় ৯ লাখ।iqna