বার্তা সংস্থা ইকনা: এ মসজিদটি পুনর্নির্মাণ করার জন্য প্রত্নতত্বাবিদগণ বারবার আহ্বান জানালেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাদের এ আহ্বানকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। আতিয়া ফাউন্ডেশনের প্রধান মুহাম্মাদ বাবুল জামান এ ব্যাপারে বলেন: আতিয়া মসজিদটি সংরক্ষণের জন্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এবং জনগণ নিজেদের সাধ্য মত চেষ্টা করেছে। তবে পুরাতত্ত্ব কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে তেমন কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।
টাঙ্গাইল জেলার দেলদুয়ার উপজেলার প্রাচীন ঐতিহাসিক ‘আতিয়া’ মসজিদ ১৫০৮ সালে নির্মাণ করা হয়। আতিয়া মসজিদ বাংলাদেশের টাঙ্গাইল জেলার দেলদুয়ার উপজেলায় অবস্থিত একটি প্রাচীন ঐতিহাসিক মসজিদ যা বাংলাদেশের অন্যতম প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। এই মসজিদটি ষড়োশ শতাব্দীতে নির্মিত হয়েছে এবং এখানে নিয়মিত জামাতে নামাজ আদায় করা হয়। বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের পুরাতত্ত্ব বিভাগ এ স্থাপনার তত্ত্বাবধান করছে।
লাল ইট দ্বারা নির্মিত এই মসজিদটি আকারে বেশ ছোট, মাত্র ১৮.২৯ মিটার (৫৯ ফুট) x ১২.১৯ মিটার (৪০ ফুট) এবং দেওয়ালের পুরুত্ব ২.২৩ মিটার (সাড়ে ৭ ফুট)। এর চারকোণে ৪টি অষ্টকোণাকৃতীর মিনার রয়েছে, যার উপরের অংশটি ছোট গম্বুজের আকৃতি ধারণ করেছে।
আতিয়া মসজিদের কর্তৃপক্ষ ১৯৭৮ সালে মসজিদটি প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরে হস্তান্তর করেন। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের কর্তৃপক্ষ ৬ মাস পূর্বে এ মসজিদটি পরিদর্শনের জন্য আসেন এবং এ মসজিদটি পুনর্নির্মাণ করবে বলে ওয়াদ দেয়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তারা কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।
বর্তমানে বাংলাদেশে প্রচলিত বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক মুদ্রিত১০ (দশ) টাকা মূল্যমানের নোটের একপার্শ্বে আতিয়া মসজিদের ছবি রয়েছে।
3353418