
বেশ কিছুদিন মাহমূদ রেযা খভারীর নাম ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটের ওয়ারেন্ট লিস্টে ( গ্রেফতারির পরোয়ানা তালিকা ) ছিল। কিন্তু ১৩৯৫ ফার্সি হিজরী সালের মেহর মাস ( ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর ) থেকে তার নাম ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটের ওয়ারেন্ট ( গ্রেফতারির পরওয়ানা ) লিস্টে আর বিদ্যমান নেই।
এখন এই পলাতক অর্থ আত্মসাৎকারী ও দুর্নীতিগ্রস্ত মাহমূদ রেযা খভারীর ছেলে আরদাভন খভারীকে টাইকোন নামক কানাডার এক ম্যাগাজিনের সর্বশেষ সংখ্যায় অনুপ্রেরণা দানকারী ব্যবসায়ী বলে অভিহিত করা হয়েছে । এ পত্রিকায় লেখা হয়েছে : " আর্দাভন খভারী ২০০৫ সালে পর্যটন শিল্পে কর্মতৎপরতা শুরু করে এবং তিন বছর কর্মতৎপরতা চালিয়ে সে তার কোম্পানিকে কানাডার তিন বৃহত্তম পর্যটন কোম্পানির অন্তর্ভুক্ত করে । তার কোম্পানি কানাডার বিভিন্ন রাজ্যে ১১টি শাখা অফিস স্থাপন করেছে ।
তার কোম্পানি কানাডার ২৫ টিরও বেশি এজেন্সিকে পর্যটন , টুর ও সফর সংক্রান্ত সেবা অফার করেছে । ধনী ব্যক্তি ও কোম্পানি সমূহ তার পরিষেবার খরিদ্দার । আর এ কারণেই তার কোম্পানি ছিল প্রথম পশ্চিমা কোম্পানি যা দুবাই ভ্রমন ট্যুরের পূর্ণ প্যাকেজ অফার করেছিল । উল্লেখ্য যে খভারী পরিবার ২০০১ সাল থেকে কানাডায় বসবাস করছে । "
এ পত্রিকা আর্দাভন খভারীকে এমন এক পরিবারের সন্তান বলে অভিহিত করেছে কয়েক পুরুষ ধরে যাদের উদ্যোক্তা হওয়ার রেকর্ড রয়েছে এবং স্বীয় পরিবারের কয়েক শতাব্দীর কারবার ও সুক্ষ্ম ব্যবসায়িক অভিজ্ঞতাও সে ( আর্দাভন খভারী ) উত্তরাধিকার সূত্রে লাভ করেছে!
অথচ কয়েক পুরুষ ধরে উদ্যোক্তা হওয়ার অভিজ্ঞতা এবং কয়েক শতাব্দীর কারবার ও সুক্ষ্ম ব্যবসায়িক অভিজ্ঞতা ইত্যাদি হচ্ছে মিথ্যা গাল গল্প এবং এই আর্দাভন খভারীর পিতা মাহমূদ রেযা খভারী ছিল ইরানের রাষ্টয়ত্ত ব্যাংক মেল্লির ম্যানেজিং ডিরেক্টর যে অর্থ আত্মসাৎ ও ঘুষ উৎকোচ গ্রহণ করে কানাডা ও পশ্চিমা দেশগুলোয় বিপুল অর্থ পাচার করে সে দেশে পালিয়ে যায় । এই অর্থ আত্মসাৎ কারী দুর্নীতিগ্রস্থ পরিবারকে কানাডার মতো দেশই পারে ধনাঢ্য বনেদি কয়েক শতাব্দীর ব্যবসায়িক অভিজ্ঞতা ও কয়েক পুরুষ ধরে উদ্যোক্তা হওয়ার রেকর্ড ধারী বলে অভিহিত করতে । আসলে বিভিন্ন দেশের এ সব চোর , দুর্নীতি পরায়ণ কর্মকর্তা এবং অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারকারীকে তো কানাডা উদ্যোক্তা , জাত ব্যবসায়ী বলেই থাকে এবং দেশ বিদেশের এ সব চোর ও অসাধু দুর্নীতি পরায়ণ কর্মকর্তা , ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে কানাডার মতো পশ্চিমা দেশগুলো আশ্রয় তো দেবেই । কারণ চোরে চোরে মাসতুতো ভাই । তাই বাংলাদেশের পিকে হালদারের মতো লোকেরাও এই একই কারণে কানাডা , অন্যান্য পশ্চিমা দেশ ও ভারতের মতো দেশসমূহে তাদের অবৈধ টাকা পয়সা পাচার করে ঐ সব দেশে আশ্রয় পাচ্ছে , অর্থ সম্পদ বিনিয়োগ করছে এবং ঐ সব দেশের অর্থনৈতিক শ্রীবৃদ্ধিও ঘটাচ্ছে!
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের চোর বাটপার দুর্নীতি পরায়ণ অসৎ অসাধু কর্মকর্তা , ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে তাদের পাচার করা অর্থ ও সম্পদ সমেত আশ্রয় ও নাগরিকত্ব প্রদান করে নিজেদেরকে সৎ , সাধু , স্বচ্ছ ও সভ্য বলে দাবিও করছে কানাডার মতো পশ্চিমা ও প্রাচ্য দেশসমূহ যা সত্যি দু:খজনক ও হাস্যকর । আসলে কানাডার মতো পশ্চিমা দেশগুলোই দুর্নীতি জীবী এবং সমগ্র বিশ্বে এরাই অপরাধ , দুর্নীতি ও পাপের প্রসার ও সয়লাব ঘটিয়ে চলছে সেই বিগত দুই তিন শতাব্দী ধরে যার সাক্ষী হচ্ছে ইতিহাস।
ইসলামী চিন্তাবিদ এবং গবেষক হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান