IQNA

দ্বিতীয় পর্ব :

প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের অর্থনৈতিক মন্দা ও অচলাবস্থা (রুকূদ )

20:34 - February 25, 2024
সংবাদ: 3475147
ইকনা: বৈশ্বিক অস্ত্র সরবরাহকারী ও যোগানদাতা হিসেবে ইরানের আবির্ভাব ও অভ্যুদয়ে মাযুরা ( মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ) এবং তার মিত্ররা কেন এত ক্ষুব্ধ ও উদ্বিগ্ন ?
(( আন্তর্জাতিক অস্ত্র যোগানদাতা ও সরবরাহকারী দেশ হিসেবে ইরানের অভ্যুদয় মাযুরা ( মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ) ও তার মিত্রদেরকে বিরক্ত, ক্ষুব্ধ , ক্রুদ্ধ ,উদ্বিগ্ন ও হয়রান করে দিচ্ছে।
Iran's rise as global arms suppliers vexes US and its allies : Wall Street Journal . 23 hrs ago ))
**---------
বৈশ্বিক অস্ত্র সরবরাহকারী ও যোগানদাতা হিসেবে ইরানের আবির্ভাব ও অভ্যুদয়ে মাযুরা ( মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ) এবং তার মিত্ররা কেন এত ক্ষুব্ধ ও উদ্বিগ্ন ?
এ প্রশ্নের জবাবে বলা হয়েছিল যে এর ফলে ইরানের সামরিক রাজনৈতিক অর্থনৈতিক সামাজিক সাংস্কৃতিক ও আদর্শিক প্রভাব ও প্রতিপত্তি বিশ্বব্যাপী বৃদ্ধি পাবে যা মাযুরা (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) ও তার মিত্রদের কাছে কাম্য নয় এবং পশ্চিমাদের বিশেষ করে মাযুরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের বিশ্বব্যাপী অস্ত্র বাযার , ব্যবসায় ও বাণিজ্যে যে উদীয়মান বিশ্ব অস্ত্র নির্মাতা , সরবরাহকারী ও যোগানদাতা হিসেবে ইরান ভাগ বসাচ্ছে এবং এর ফলে তাদের বিশ্ব অস্ত্র বাযার ও ব্যবসায়ে সংকোচন দেখা দেবে তা মাযুরা (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) ও তার মিত্রদের দারুন অপছন্দনীয়। যাহোক এখন প্রশ্ন : ইরানী অস্ত্র কেন মাযুরা (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) ও পশ্চিমাদের অস্ত্র বাযার ও ব্যবসায়ে সংকোচন ও মন্দা তৈরি করবে ?
ইরানী অস্ত্রের বৈশিষ্ট্য ও গুণের মধ্যে এ প্রশ্নের জবাব নিহিত ( নিহিপ্ত / নিহুফ্ত ْنِهِفْتَه) রয়েছে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল ও পাশ্চাত্য মিডিয়া নিজেরাই বলছে ও দাবী করছে যে ইরানী অস্ত্র স্বল্প মূল্যের ( সস্তা) , হাইটেক ( উচ্চ প্রযুক্তি ) সম্বলিত এবং যুদ্ধ ক্ষেত্রে কার্যকর ও সফল ( ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের রণাঙ্গন ও যুদ্ধের ময়দান সমূহে ইরানী অস্ত্রের কার্যকারিতা ও সাফল্য প্রমাণিত ) তাহলে এত সব সুবিধা ও বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হলে ইরানী অস্ত্র বিশ্ব বাযারে দারুন ভালো অবস্থানের অধিকারী হবে এবং এর চাহিদা ও ডিমান্ড বৃদ্ধি পাবে। বিশেষ করে স্বল্প আয়ের গরীব দেশগুলো এ সব বৈশিষ্ট্যের কারণে ইরানী অস্ত্রের দিকে ঝুঁকবে এবং তা সংগ্রহ ও ক্রয়ের চেষ্টা করবে। আর শুধু স্বল্প আয়ের দেশ নয় স্বচ্ছল দেশগুলোও সস্তায় হাইটেক ইরানী সমরাস্ত্র সংগ্রহে আগ্রহ দেখাবে । কারণ , কিছু রাজতান্ত্রিক আরব দেশের মতো যে দেশগুলো পাশ্চাত্য বিশেষ করে মাযুরার পা চাটা গোলাম ও ভৃত্য বা দাস সম সেগুলো ছাড়া বাদবাকি দেশ এমনকি স্বচ্ছল হলেও সস্তা কার্যকর হাইটেক অস্ত্র ফেলে চড়া মূল্যের পশ্চিমাদের নির্মিত অস্ত্র কেন কোন্ দু:খে কিনতে যাবে ?!! আর ইরানী অস্ত্র যে পশ্চিমা বিশেষ করে মাযুরা (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) নির্মিত অস্ত্রের সমকক্ষ বা তার চেয়েও যে কার্যকর তা পশ্চিমারা নিজেরাই স্বীকার করেছে ঠিক এভাবে যে ইরানী অস্ত্র সমূহের কার্যকারিতা ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের রণাঙ্গন ও যুদ্ধক্ষেত্র সমূহে প্রমাণিত ( দ্র: ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এবং
www.fanverse.com ) । যে অস্ত্রের নিপুণতা ও কার্যকারিতা রণাঙ্গনে প্রমাণিত ও প্রতিষ্ঠিত এমনকি প্রতিপক্ষ পর্যন্ত স্বীকার করতে বাধ্য হয় সে অস্ত্র কেন বিশ্বে বাযার এবং দুর্বল অস্বচ্ছল গরীব দেশ গুলোর সামরিক বাজেট ও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় স্থান পাবে না ? এ ছাড়া ইরান শুধু অস্ত্রই বিক্রি করে না অস্ত্রের সাথে সাথে সস্তা ও সুলভ মূল্যে হাই টেক অস্ত্র নির্মাণ প্রযুক্তিও সরবরাহ করে যা পশ্চিমারা বিশেষ করে মাযুরা (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) ও তার মিত্ররা কোনদিন কাউকে দেবে না । আর অস্ত্রের সাথে প্রযুক্তি পেলে যে কোন দুর্বল দেশ পরাশক্তি ও পরাক্রমশালী দেশসমূহ বিশেষ করে সাম্রাজ্যবাদী রক্তপিপাসু পশ্চিমা দেশসমূহ ও মাযুরার ( মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) বিরুদ্ধে সফল শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যুহ্য তৈরি করে ও সব সাম্রাজ্যবাদী হানাদার আগ্রাসী দেশগুলো থেকে আত্মরক্ষা করতে পারবে । যেমন: ফিলিস্তিনের গাজা , ইরাক , ইয়ামান , সিরিয়া, লেবানন , আফগানিস্তান , ইথিওপিয়া, শ্রীলংকা ও ভেনেজুয়েলা ইত্যাদি। এ সব দেশ ইরানী প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিশেষ করে আগ্রাসী দখলদার মাযুরা (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) , যুরা ,  ( যুক্তরাজ্য), ইসরাইল ও তাদের সাঙ্গপাঙ্গদের , তামিল বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী , আল - কায়দা , দায়েশ আইসিসের মতো বিচ্ছিন্নতাবাদী , বিদ্রোহী ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠী সমূহ থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পেরেছে ও সফল হয়েছে । আর এখন পাশ্চাত্যই বলে বেড়াচ্ছে ও প্রচার করছে যে দ্বিতীয় বৃহত্তম পরাশক্তি রাশিয়া নাকি ২০২২ সালে হাজার হাজার ইরানী ড্রোন কিনে ব্যবহার করে ইউক্রেনে যুদ্ধক্ষেত্র পাল্টে দিয়েছে ও পরিবর্তন করে ফেলেছে ! ইরান অবশ্য  রাশিয়াকে অস্ত্র ও ড্রোন সরবরাহের কথা অস্বীকার ও প্রত্যাখ্যান করেছে । 
 ইসলামী চিন্তাবিদ এবং গবেষক হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলেমিন মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান

 

captcha