বার্তা সংস্থা ইকনা: গত শুক্রবার ট্রাম্প এক নির্বাহী আদেশে সই করে সাময়িকভাবে আমেরিকায় নতুন করে শরণার্থীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি বিশ্বের মুসলিম-প্রধান সাতটি দেশের নাগরিকদের আমেরিকায় প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। এ ঘটনার পর সিএআইআর তাৎক্ষণিকভাবে ঘোষণা করেছে যে, তারা ট্রাম্পের এ পদক্ষেপ চ্যালেঞ্জ করবে। কারণ হিসেবে সংস্থাটি বলেছে, "নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে মূলত মুসলিম-প্রধান দেশগুলোকে আমেরিকায় প্রবেশের ওপর নিষিদ্ধ করা হয়েছে।”
সিএআইআর’র জাতীয় আইন বিষয়ক পরিচালক লিনা মাসরি বলেন, "বহু বছর ধরে আমেরিকায় মুসলমানরা বৈষম্যের শিকার।এর মধ্যে নতুন নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে মুসলমানদেরকে হামলা করা হয়েছে। এ অবস্থায় মার্কিন নাগরিকদের একসঙ্গে জেগে ওঠা এবং রুখে দাঁড়ানো দরকার। সিএআইআর বলেছে, মামলার সঙ্গে ২০ ব্যক্তি জড়িত এবং সোমবার বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
শুক্রবার পেন্টাগন পরিদর্শনের সময় ট্রাম্প বলেছেন, আমেরিকা উগ্র গোঁড়াবাদী সন্ত্রাসীদের চায় না কিন্তু সহিংসতা ও যুদ্ধের শিকার নাগরিকরা এবং অন্যায় শাস্তি পাওয়া ব্যক্তিরাও ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের ভেতরে পড়ে যাবেন। ফলে এসব বিপদগ্রস্ত ব্যক্তি আমেরিকায় আশ্রয় নিতে পারবেন না। তার এ আদেশের কারণে ইরান, ইরাক, সিরিয়া, ইয়েমেন, সুদান, লিবিয়া ও সোমালিয়ার লোকজন ৯০ দিনের জন্য আমেরিকায় যেতে পারবেন না। এছাড়া, সিরিয়া থেকে কোনো শরণার্থী অনির্দিষ্টকালের জন্য আমেরিকায় যেতে পারবেন না; পাশাপাশি সব ধরনের শরণার্থীর জন্য ১২০ দিনের নিষেধাজ্ঞা বলবৎ হবে।
সিএআইআর’র লিনা মাসরি বলেন, "ব্যাপক পরীক্ষা-নীরিক্ষার পর যেসব শরণার্থীকে আমেরিকায় আশ্রয় দেয়া হচ্ছে তারা আমাদের দেশের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি- এমন কোনো প্রমাণ নেই।”
ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ক্যাটো ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুসারে, যে সাতটি দেশের নাগরিকদের আমেরিকায় প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে ১৯৭৫ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত আমেরিকার মাটিতে এসব দেশের কোনো সন্ত্রাসীর হাতে মার্কিন নাগরিক নিহত হওয়ার কোনো রেকর্ড নেই। পার্সটুডে
iqna