IQNA

ঐতিহাসিক আরাফাতের দিবসের ফজিলত

23:52 - August 31, 2017
সংবাদ: 2603727
বছরের গুরুত্বপূর্ণ ও ফজিলতপূর্ণ দিনসমূহের অন্যতম হচ্ছে আরাফাতের দিবস তথা জিলহজ মাসের ৯ তারিখ। এ দিনে আল্লাহ রব্বুল আলামীন মানুষের দোয়া ও প্রার্থনাকে কবুল করেন। হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যে, যদি কেউ আরাফাতের দিন কারবালাতে এসে ইমাম হুসাইনকে (আ.) জিয়ারত করে তাহলে আল্লাহ তায়ালা তার জন্য ইমাম মাহদীর (আ.) সাথে এক লাখ হজ এবং রাসূলের (সা.) সাথে এক লাখ উমরা হজ এবং এক লাখ দাসকে মুক্ত করার সোওয়াব দান করবেন।

বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: যদি কেউ আরাফাতের দিবসে তথা জিলহজ মাসের ৯ তারিখে ঐতিহাসিক আরাফাতের ময়দানে কিংবা ইরাকের কারবালা নগরীতে ইমাম হুসাইনের (আ.) পবিত্র মাজারে উপস্থিত হতে পারে, তাহলে সে এ পৃথিবীতে দোয়া কবুলের সর্বোত্তম স্থানে পৌছাতে পেরেছে এবং নি:সন্দেহে আল্লাহর দরবারে তার দোয়া ও মুনাজাত বিশেষ নৈকট্য লাভের সৌভাগ্য অর্জন করতে পারবে।

আরাফাতের দিন হচ্ছে দোয়া ও মুনাজাতের দিন; এ দিনের দোয়া ও মুনাজাত আল্লাহর দরবারে বিশেষ স্থান লাভ করে থাকে। এদিনের দোয়া ও মুনাজাতের ফজিলত ও তাৎপর্য এতই বেশি যে, আরাফাতের দিনে রোজা যদি দোয়া ও মুনাজাতের ক্ষেত্রে কোনরূপ বিগ্ন ঘটায়, তাহলে রোজা থেকে বিরত থেকে দোয়া ও মুনাজাতেই মগ্ন থাকা মুস্তাহাব।

আরাফাতের দিনে মক্কার আরাফাত ময়দান কিংবা ইরাকের কারবালা নগরীতে অবস্থানের বিশেষ ফজিলত রয়েছে। এ সম্পর্কে ইমাম জাফর সাদীক (আ.) থেকে একটি হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যে, আল্লাহ তায়ালা আরাফাতের দিন সর্বপ্রথমে কারবালাতে অবস্থানকারী ইমাম হুসাইনের (আ.) জিয়ারতকারীদের প্রতি দৃষ্টি দেন, তাদের দোয়া কবুল এবং গুনাহসমূহ ক্ষমা করেন। তারপর তিনি মক্কায় আরাফাতের ময়দানে অবস্থানকারী হাজিদের প্রতি দৃষ্টি দেন এবং তাদের দোয়া কবুল এবং গুনাহসমূহ ক্ষমা করেন।

এছাড়া অপর একটি হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যে, যদি কেউ আরাফাতের দিন কারবালাতে এসে ইমাম হুসাইনকে (আ.) জিয়ারত করে তাহলে আল্লাহ তায়ালা তার জন্য ইমাম মাহদীর (আ.) সাথে এক লাখ হজ এবং রাসূলের (সা.) সাথে এক লাখ উমরা হজ এবং এক লাখ দাসকে মুক্ত করার সোওয়াব দান করবেন।
captcha