বার্তা সংস্থা ইকনা: মঙ্গলবাবার মধ্যে মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির ব্রিটেনের কাছ থেকে এই ঘোষণা এলো।
বিবিসির খবরে বলা হয়, মায়ানমারের সামরিক বাহিনীর সাথে এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি প্রতিবছরই হয়ে আসছে। এজন্যে ব্রিটেনের খরচ হয় বছরে তিন লাখ পাউন্ড।
এই কর্মসূচির আওতায় ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বর্মী সৈন্যদের প্রশিক্ষণের জন্যে অর্থ সাহায্য দিয়ে আসছে।
ব্রিটিশ সরকারের একজন মুখপাত্র বলেন, রাখাইন রাজ্যে অব্যাহত সহিংসতা এবং তাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট মানবিক বিপর্যয়ের প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় ব্রিটেন গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এই সঙ্কটের গ্রহণযোগ্য কোনো সমাধান না হওয়া পর্যন্ত এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি স্থগিত থাকবে।
ব্রিটিশ সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘মিয়ানমার সেনাবাহিনীর প্রতি আমরা আহ্বান জানাচ্ছি রাখাইনে সহিংসতা বন্ধ করে বেসামরিক সব নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে খুব দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্যে। সেখানে যাতে মানবিক ত্রাণ সাহায্য যেতে পারে তার জন্যেও সেনাবাহিনীকে ব্যবস্থা নিতে আহবান জানানো হচ্ছে।’
রাখাইনে নতুন করে সহিংসতা শুরু হওয়ার পর গত তিন সপ্তাহে চার লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে।
জাতিসংঘ রাখাইনে মায়ানমার সেনাবাহিনীর এই হামলাকে তুলনা করেছে জাতিগত নিধন অভিযানের সাথে। আরটিএনএন