IQNA

ঐতিহাসিক লালদীঘি ৯ গম্বুজ মসজিদ

22:01 - January 12, 2022
সংবাদ: 3471271
তেহরান (ইকনা): বাংলাদেশের অন্যতম মুসলিম পুরকীর্তি ও প্রাচীন স্থাপত্য রংপুরের ঐতিহাসিক লালদীঘি ৯ গম্বুজ মসজিদ। জেলার বদরগঞ্জ উপজেলা শহর থেকে ১০ কিলোমিটার পশ্চিমে গোপীনাথপুর ইউনিয়নে এটি অবস্থিত। মসজিদের নির্মাণকাল সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানা না গেলেও ধারণা করা হয় মসজিদটি খ্রিস্টীয় ১২ শতকে মোগল আমলে নির্মিত। কেননা মসজিদের নির্মাণশৈলীর সঙ্গে মোগল স্থাপত্যরীতির মিল আছে।
ব্রিটিশ আমলে মসজিদটি আবিষ্কৃত হওয়ার আগে তা দীর্ঘদিন অব্যবহৃত অবস্থায় ছিল। মসজিদের সন্ধান পাওয়ার পর স্থানীয় মুসলিমরা মসজিদটি সংস্কার করে নামাজ আদায় শুরু করে। তবে কোনো শিলালিপির সন্ধান পাওয়া যায়নি। স্থানীয় লোক বিশ্বাস অনুসারে জনৈক দিলওয়ার খান মসজিদটি নির্মাণ করেন। অন্যদিকে এটাও স্থানীয়দের মধ্যে প্রচলিত আছে যে, এক রাতের মধ্যেই মসজিদ নির্মাণ ও মসজিদের পুকুর খনন করা হয়।
 
লালদীঘির পুরো মসজিদটিই একটি বেদীর ওপর বসানো। বেদীর উচ্চতা এক মিটার। তবে বেদীর অর্ধেকটায় মসজিদ ও বাকি অর্ধাংশ আজান দেওয়ার কাজে ব্যবহৃত হতো বলে ধারণা করা হয়। কাছেই রয়েছে ছোট একটি ঘাট বাঁধানো পুকুর। মসজিদ নির্মাণে ইট, চুন ও সুড়কি ব্যবহার করা হয়েছে।
 
মসজিদের সামনের দিকেই আছে প্রধান প্রবেশপথ। মসজিদটিতে মোট ৯টি গম্বুজ রয়েছে, যার প্রতি বাহুর দৈর্ঘ্য ৯.৪৫ মিটার। মসজিদটির উত্তর, পূর্ব ও দক্ষিণ দেয়ালে মোট তিনটি করে ৯টি প্রবেশপথ রয়েছে। প্রত্যেক দেয়ালের মধ্যে প্রবেশপথটি অপর দুটি থেকে কিছুটা বড় আকৃতির। মসজিদের পশ্চিম দেয়ালে স্থাপিত তিনটি মেহরাবের কেন্দ্রীয় মেহরাবটি অপর দুটির চেয়ে বড় আকৃতির। গম্বুজগুলোর চূড়ায় আছে পদ্মফুলের মতো শিরচূড়া এবং গম্বুজের নিচের দিকে মারলন অলঙ্করণ। মসজিদের চার কোণে অষ্ট কোনাকৃতির কিউপলাযুক্ত মিনারের দেখা পাওয়া যায়। তবে উত্তর-পূর্ব কোণের মিনারটি চার স্তরবিশিষ্ট এবং এই মিনারটি আজান দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত হয়।
 
সূত্র : রংপুর ডটগভ ডটবিডি
captcha