
ইকনা-র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “যুবসমাজ ও ধর্ম: শান্তিপূর্ণ বিশ্বের পথে—গাজার শিক্ষা” শীর্ষক প্রথম আন্তর্জাতিক ওয়েবিনারটি মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত হয়। এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ইরানের সাংস্কৃতিক পরামর্শ দপ্তর, ইরানের ‘দেন ও মাজাহেব বিশ্ববিদ্যালয়’, মালয়েশিয়ার পুত্রা বিশ্ববিদ্যালয় এবং মালয়েশিয়ার ইসলামিক সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়।
ওয়েবিনারে ইরান, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার বিশিষ্ট অধ্যাপক ও চিন্তাবিদরা অংশ নেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন—হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন মুহাম্মদ মাহদী তাসখিরি, দেন ও মাজাহেব বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক সহ-উপাচার্য, হাবিব রেজা আরজানি, মালয়েশিয়ায় ইরানের সাংস্কৃতিক পরামর্শক, ড. আহমাদ আজিজউদ্দিন মোহাম্মদ রামি, পুত্রা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, ড. আরসিয়া আমালারতি আরবিয়ানতি, ইন্দোনেশিয়ার দারুস সালাম গন্টোর ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, প্রফেসর আবদুল হাকিম মোওয়াহেদ, মালয়েশিয়ার ইসলামিক সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, এবং সাইয়েদ আলী আহরারি, দেন ও মাজাহেব বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক।
বক্তারা তাঁদের বক্তব্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় যুবসমাজের ভূমিকা, আন্তঃধর্মীয় সংলাপ, ন্যায়বিচার, মানব মর্যাদা ও বৈশ্বিক সংহতির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
হুজ্জাতুল ইসলাম মুহাম্মদ মাহদী তাসখিরি বলেন, “গাজা আজ মানবতার করুণ চিত্র তুলে ধরছে—এটি একই সঙ্গে নিপীড়নের প্রতীক ও প্রতিরোধের প্রতীক। মুসলিম সমাজকে উচিত সাংস্কৃতিক ও একাডেমিক শক্তি ব্যবহার করে ফিলিস্তিনি জনগণের কণ্ঠস্বর বিশ্বজুড়ে পৌঁছে দেওয়া।”
তিনি আরও বলেন, “সত্যিকারের শান্তি তখনই সম্ভব, যখন ফিলিস্তিনি জাতি তাদের ন্যায্য অধিকার ফিরে পাবে। মুসলিম তরুণদের দায়িত্ব—জ্ঞান, সচেতনতা ও ঐক্যের মাধ্যমে ন্যায় ও শান্তির বার্তাকে জীবিত রাখা।”
পরে মূল বক্তব্য দেন ইরানের সাংস্কৃতিক পরামর্শক হাবিব রেজা আরজানি, যার বিষয় ছিল “দুঃখ থেকে সংহতির পথে: গাজা থেকে যুবসমাজ, ধর্ম ও শান্তি প্রতিষ্ঠার শিক্ষা”।
আরজানি বলেন, “শান্তির মূল শর্ত হচ্ছে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা। ইব্রাহিমি ধর্মসমূহ মানুষের জীবন ও মর্যাদাকে পবিত্র বলে ঘোষণা করেছে। তাই আন্তঃধর্মীয় সংলাপ তখনই ফলপ্রসূ হবে, যখন তা মানবতার কষ্টের প্রতি নৈতিক ও যৌথ প্রতিক্রিয়া প্রদান করবে।” 4313942#