IQNA

ব্রিটেনের ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক:

“ব্রিটেনে মুসলমানদের বিরুদ্ধে ঘৃণা এখন কথার পর্যায় পেরিয়ে কাজে রূপ নিয়েছে”

22:14 - November 02, 2025
সংবাদ: 3478363
ব্রিটেনের ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক আকিলা আহমেদ বলেছেন, মুসলমানদের বিরুদ্ধে ঘৃণার মনোভাব এখন শুধু কথাবার্তায় সীমাবদ্ধ নেই, বরং তা বাস্তব জীবনে কর্মকাণ্ডে পরিণত হয়েছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ঘৃণাবাদ মানুষের জীবনে গভীর প্রভাব ফেললেও, এ বিষয়ে পর্যাপ্তভাবে রিপোর্ট বা তদন্ত করা হয় না।

ইউরোনিউজ–এর বরাতে ইকনা জানায়, আকিলা আহমেদ বলেন, “আমি বিশ্বাস করি মুসলমানরা ইসলামবিদ্বেষীদের জন্য সহজ লক্ষ্য, কারণ তাদের ধর্মীয় পরিচয় স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান — বিশেষ করে যারা আমার মতো হিজাব পরেন।”
তিনি আরও বলেন, “আমি যেখানেই গিয়েছি, মুসলমানরা জানিয়েছেন যে তারা কোনো না কোনোভাবে ঘৃণামূলক আচরণের শিকার হয়েছেন, যা তাদের বাবা-মায়ের ১৯৭০ ও ১৯৮০-এর দশকের অভিজ্ঞতার সঙ্গে মিল রয়েছে।”
এদিকে, দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকা জানিয়েছে, ব্রিটিশ সরকার গত জুলাই মাসে ইসলামিক ফাউন্ডেশন অব ব্রিটেন (BMT)-কে “মুসলমানদের বিরুদ্ধে ঘৃণা মোকাবিলায়” তহবিল প্রদান করে এ ক্ষেত্রে আনুষ্ঠানিক অংশীদার হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে।
এরপর থেকে আকিলা আহমেদ ব্র্যাডফোর্ড (ওয়েস্ট ইয়র্কশায়ার), ইস্ট সাসেক্স, গ্রেটার লন্ডন ও গ্রেটার ম্যানচেস্টারের মুসলিম সম্প্রদায়ের সদস্যদের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ করছেন। এসব বৈঠকের লক্ষ্য হচ্ছে মুসলমানদের বাস্তব অভিজ্ঞতা শোনা ও তারা কীভাবে ঘৃণার সম্মুখীন হচ্ছেন, তা নথিভুক্ত করা।
তিনি বলেন, “বাস্তব জীবনে মুসলমানদের বিরুদ্ধে ঘৃণার প্রভাব অত্যন্ত গভীর, কিন্তু তা রিপোর্টে যথাযথভাবে প্রতিফলিত হয় না এবং প্রায়ই উপেক্ষিত থাকে।”
আকিলা আহমেদ জানান, তাদের সংস্থা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ঘৃণামূলক বক্তব্যের সঙ্গে বাস্তব জীবনের প্রভাবের সম্পর্ক বোঝার জন্য ক্ষেত্রসমীক্ষা (ফিল্ড রিসার্চ) পরিচালনা করবে।
তিনি আরও বলেন, “মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য বিশেষ সুবিধা বা ব্যতিক্রমী ব্যবস্থা আমরা চাই না। আমরা শুধু চাই আইন যেমন আছে তেমনই ন্যায্যভাবে ও কার্যকরভাবে প্রয়োগ করা হোক।”
আকিলা আহমেদ যোগ করেন, “এটি শুধু বর্ণবাদী বা ইসলামবিদ্বেষী কনটেন্টের বিষয় নয়, বরং এমন সামগ্রী সম্পর্কেও যা সহিংসতা উস্কে দেয় এবং স্পষ্টভাবে আইন লঙ্ঘন করে।”
তিনি শেষ বলেন, “আমরা ধর্মীয় পক্ষপাতের ভিত্তিতে সমর্থন চাই না, আমরা শুধু চাই আইন যেন সবাইয়ের ক্ষেত্রে সমানভাবে প্রয়োগ হয় — অপরাধীর পরিচয় বা ধর্ম নির্বিশেষে।”4314052#

captcha