বার্তা সংস্থা ইকনা: ব্রিটিশ ‘The Sun’ পত্রিকা লিখেছে: প্রথম বারের মত ব্রিটেনে মুসলমানের সংখ্যা ৩০ লাখ অতিক্রম করেছে। যার মধ্যে প্রায় অর্ধেকের বেশী ব্রিটেনের বাইরে জন্মগ্রহন করেছে।
এ পত্রিকা ছাড়াও ডেইলি মেইল, গার্ডিয়ান, সানডে মেইল ও ... পত্রিকা লিখেছে: অভিবাসীদের স্রোত ও উচ্চ জন্মহারের কারণে মাত্র এক দশকের ব্যবধানে ব্রিটেনে মুসলিমদের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে।
সান পত্রিকা উদ্বেগ প্রকাশ করে লিখেছে: মুসলমানদের বৃদ্ধির হার যদি এভাবে চলতে থাকে, তাহলে আগামী ১০ বছরের মধ্যে ব্রিটেনের কিছু অংশে মুসলমানের সংখ্যা অধিক হয়ে যাবে।
মোট মুসলিম জনসংখ্যা ৩০ লাখ অতিক্রম করার অর্থ
ইংল্যান্ডের প্রতি ২০ জনের একজন মুসলিম। ব্রিটেনে মুসলিমদের ক্রমবর্ধমান
সংখ্যা দেশটির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ েেত্র মুসলিম সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করছে।
১৯৯১ সালে ইংল্যান্ডে মুসলিম
জনসংখ্যা ছিল ৯ লাখ ৫০ হাজার জন, যা মোট সংখ্যার ১.৯%। এক দশক পরে অর্থাৎ ২০০১ সালে এ সংখ্যা দাঁড়ায় ১৫
লাখ ৪৬ হাজার ৬২৫ জনে, যা মোট জনসংখ্যার ৩%। কিন্তু ২০১১ সালে জনসংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে ২৭ লাখ অতিক্রম করে যা মোট
জনসংখ্যার ৪.৮%।
তবে এ মাসে প্রকাশিত নতুন জরিপে দেখা যায় প্রথমবারের মতো
ব্রিটেনে মুসলিম জনসংখ্যা ৩০ লাখ ছাড়িয়েছে। বর্তমানে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলসে মুসলিম জনসংখ্যা ৩০ লাখ
৪৬ হাজার ৬০৭ জন, যা মোট জনসংখ্যার ৫.৪%। আর
গ্রেট ব্রিটেনে এ সংখ্যা ৩১ লাখ ১৪ হাজার ৯৯২ জন, যাদের অর্ধেকের বেশি ব্রিটেনের বাইরে জন্মগ্রহণকারী।
জরিপে ব্রিটেনের আটটি অঞ্চল চিহ্নিত করা
হয় যেখানে মুসলিমরা মোট জনসংখ্যার অর্ধেক। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৪৫.৬% মুসলিম বাংলাদেশী অধ্যুষিত পূর্ব
লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটে বসবাস করে।
সাম্প্রতিককালে মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে
আসা মুসলিম অভিবাসী এবং মুসলিমদের উচ্চ জন্মহারের কারণে এত বিপুল পরিমাণ মুসলিমের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে
গবেষকেরা মনে করছেন।
২০১৫ সালের অক্টোবরে রেকর্ড সংখ্যক ৫,০৯৫ জন অভিবাসী আশ্রয়ের জন্য ব্রিটেনে আবেদন করেছে যাদের
অধিকাংশই যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার বাসিন্দা।