
আনাদোলু সংবাদ সংস্থার বরাত দিয়ে ইকনা জানায়, ১৯০৬ সালে নির্মিত এই মসজিদটি দেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের সেবার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছিল। এটি রোমানিয়ার মুসলিম সংখ্যালঘু ও খ্রিস্টান-প্রধান সমাজের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগস্থল এবং সহিষ্ণুতা ও সহাবস্থানের মূল্যবোধের প্রতিফলন ঘটায়।
মসজিদের ইমাম মুহাম্মদ আরতুগ্রুল আনাদোলুকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, বুখারেস্ট মুসলিমদের জন্য একটি নিরাপদ শহর। এখানে কোনো ইসলামবিদ্বেষ বা ইসলামোফোবিয়ার চিহ্ন নেই; বরং সমাজে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সহিষ্ণুতার পরিবেশ বিরাজমান।
তিনি আরও বলেন: “রাস্তায় যাকে পান, সে আপনাকে সালাম দেয়। কেউ আপনার পোশাক বা ধর্মীয় পরিচয় নিয়ে খারাপ দৃষ্টিতে তাকায় না। সবাই স্বাভাবিকভাবে মিশে যায় এবং মানুষের মধ্যে শ্রদ্ধার ভাব প্রবল।”
মসজিদের অপর ইমাম মেমিশ ফারাজ জোর দিয়ে বলেন, বুখারেস্টে মুসলিমদের ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক পরিচয় প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে সঞ্চারিত হয়ে আসছে। তিনি নিজে এমন এক পরিবার থেকে এসেছেন যার তিন প্রজন্ম ধরে ইমামতির দায়িত্ব পালন করেছেন।
১৯৫৯ সালে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণের কারণে মসজিদটি ভেঙে ফেলার পরিকল্পনা করা হয়েছিল এবং পাথরগুলো নম্বর দিয়ে চিহ্নিত করা হয়। পরে ১৯৬০ সালে পুরনো নকশা অনুসরণ করে বর্তমান স্থানে এটি পুনর্নির্মাণ করা হয়।
আজও হুনকার মসজিদ বুখারেস্টের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আধ্যাত্মিক স্থাপনা হিসেবে পরিচিত এবং মুসলিম-খ্রিস্টানদের মধ্যে শ্রদ্ধা ও নৈকট্যের প্রতীক। এটি রোমানিয়ার মুসলিমদের জন্য একটি ধর্মীয় ও সামাজিক কেন্দ্র হিসেবে কাজ করছে এবং বিভিন্ন ধর্মের অনুসারীদের মধ্যে ঐতিহাসিক বন্ধুত্বের জীবন্ত সাক্ষ্য বহন করছে।
মসজিদের নিয়মিত মুসল্লি তাজার জেসুর দুরাক বলেন, রোমানিয়ায় ইসলামী পরিচয়ের প্রতিনিধিত্ব করা একটি বড় দায়িত্ববোধ জাগায়। তিনি পূর্বপুরুষের ঐতিহ্যকে সম্মান জানাতে ইতিবাচক প্রতিনিধিত্ব ও সমাজসেবার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। 4323024#