অসংখ্য রেওয়ায়তে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে পৃথিবী অন্যায়-অত্যাচারে পরিপূর্ণ হয়ে যাবে তার অর্থ এই নয় যে, প্রতিটি মানুষই জালেম হয়ে যাবে৷ বরং আল্লাহ্ পথের পথিকরা ঠিকই সে পথে অবিচল থাকবে এবং ফযিলতের সুগন্ধ বিভিন্ন স্থান থেকে নাকে আসবে৷
সুতরাং আবির্ভাবের পূর্বের পৃথিবী তিক্ত হলেও তা আবির্ভাবের সুন্দর পৃথিবীতে গিয়ে শেষ হবে৷ ফ্যাসাদ ও অত্যাচার থাকলেও পাশাপাশি নিজে পবিত্র থাকা এবং অন্যদেরকে সৎকর্মের দিকে আহবান করা মুসলমানদের অবশ্য কর্তব্য এবং তা ইমাম মাহদী (আ.)-এর আবির্ভাবকে ত্বরান্বিত করতে সরাসরি ভূমিকা পালন করে থাকে৷
এ অধ্যায়টি ইমাম মাহদী (আ.)-এর একটি বাণীর মাধ্যমে শেষ করছি, তিনি বলেছেন: কোন কিছুই আমাদের অনুসারীদের থেকে আমাদেরকে দূরে রাখে না কেবল মাত্র তাদের গোনাহ ও অসৎকর্ম ব্যতীত (ইহ্তিজাজ, খণ্ড-২, নং ৩৬০, পৃ.-৬০২)৷
ইমাম মাহদী (আ.)-এর আবির্ভাবের বিভিন্ন শর্ত ও আলামত রয়েছে যাকে আবির্ভাবের আলামত ও ক্ষেত্রও বলা হয়ে থাকে৷ এই দুটির মধ্যে পার্থক্য হল, ক্ষেত্র আবির্ভাবের ক্ষেত্রে সত্যিকার ভূমিকা রাখে অর্থাৎ ক্ষেত্র প্রস্তুত না হওয়া পর্যন্ত ইমাম মাহদী (আ.)-এর আবির্ভাব সম্ভব নয়৷ কিন্তু আবির্ভাবের ক্ষেত্রে আলামতের কোন ভূমিকা নেই বরং তার মাধ্যমে কেবলমাত্র আবির্ভাব ও তার নিকটবর্তী হওয়াকে বোঝা সম্ভব৷
উপরোক্ত আলোচনা থেকে বোঝা যায় যে, শর্ত ও ক্ষেত্রের গুরুত্ব আলামতের চেয়ে বেশী৷ সুতরাং আমাদের উচিৎ আলামতের চেয়ে ক্ষেত্রের দিকে বেশী গুরুত্ব দেয়া এবং নিজেদের সাধ্যমত তা বাস্তবায়নের চেষ্টা করা৷