ইসলাম ধর্মে মানুষের উপকার কারার প্রতি বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। কেননা মানুষ তার চলার পথে বিভিন্ন সমস্যা ও ঘাত-প্রতিঘাতের সম্মুখীন হতে পারে আর সেই সমস্যায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়া হচ্ছে একজন খাটি মুসলমানের ঈমানি দায়িত্ব।
একদা ইমাম হাসান(আ.) এতেকাফে মসজিদে বসেছিলেন। তখন এক লোক ইমামের কাছে এসে বলল: হে আল্লাহর রাসূলের সন্তান! আমি এক জনের কাছ থেকে কিছু অর্থ ধার নিয়েছিলাম কিন্তু এখন তা পরিশোধ করতে পারছি না, আপনি যদি আমাকে সাহায্য করতেন। ইমাম বললেন: আমার কাছেও দেয়ার মত অর্থ নেই। তখণ লোকটি বলল: তাহলে আপনি যদি মধ্যস্ততা করতেন। ইমাম জুতা পরে মসজিদ থেকে বের হলেন। তখন লোকটি বলল: হে ইমাম আপনি তো এতেকাফে বসেছেন। ইমাম বললেন: যদি কেউ কোন মুসলমানের সমস্যা সমাধানের চন্য চেষ্টা করে তাহলে সে ৯ হাজার বছর দিনে রোজা রাখার এবং রাতে ইবাদত করার সমান সওয়াব পাবে। (মানলা ইয়াহযারুহুল ফাকিহ ২য় খণ্ড পৃ: ১৯০)
ইমাম জাফর সাদিক(আ.) বলেছেন: কেউ যদি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কারও সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করে এবং সেই কাজে সফল হয় তাহলে সে একটি হজ ও একটি ওমরার সওয়াব পাবে। এবং ঐ দুইটি হারাম মাসে(৬০ দিন) রোজা রাখার সমান ওয়াব পাবে, আর ঐ দুই মাস মসজিদুল হারামে ইবাদত করার সমান সওয়াব পাবে। আর যে ব্যক্তি কোন মুসলমানের সমস্যা সমাধানের জেন্য চেষ্টা করবে কিন্তু সফল হবে না তার পরও সে একটি কবুল হজ পালন করার সমান সওয়াব পাবে। সুতরাং ভাল কাজে আগ্রহের সাথে অংশগ্রহন কর। (কাফি, ২য় খণ্ড, পৃ: ১৯৪)
ইমাম জাফর সাদিক(আ.) আরও বলেছেন: কোন মু’মিন ব্যক্তির সমস্যার সমাধান করার
সওয়াব; আল্লাহর জন্য ১ হাজার হজ পালন করা, ১ আল্লাহর পথে হাজার দাস মুক্ত
করা এবং আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ১ হাজার সুসজ্জিত বাহন হাদিয়া করার চেয়েও
অধিক মুল্যবান। (আমালি শেখ সাদুক, পৃ: ৩০৮) -
শাবিস্তান