তিনি জোর দিয়ে বলেন, "আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, নতুন যুদ্ধে হিজবুল্লাহর কাছে ইহুদিবাদী ইসরাইল পরাজিত হবে।”
হিজবুল্লাহ প্রধান বলেন, "২০০৬ সালের যুদ্ধের পর আমি দক্ষিণ লেবাননের বেকা উপত্যকা সফর করেছি। ইসরাইল বলে যে, তাদের অর্জন হচ্ছে তারা আমাকে বাংকারে বসবাস করতে বাধ্য করেছে। আসলে তা সত্য নয়; ঘটনাস্থলে আমি বহু লোকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। আমি স্বাভাবিক জীবন-যাপন করি; আমি বাংকারে বসবাস করি না।”
হাসান নাসরুল্লাহ জানান, ২০০৬ সালের যুদ্ধে হিজবুল্লাহ ইসরাইলের বিরুদ্ধে যে ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে তা এসেছিল সিরিয়ার সামরিক কারখানা থেকে; সেগুলো ইরানে তৈরি ছিল না।
হিজবুল্লাহ মহাসচিব বলেন, "লেবানন, সিরিয়া ও ফিলিস্তিনকে ধ্বংস করার জন্য ইসরাইল ২০০৬ সালের যুদ্ধ শুরু করেছিল। এমনকি ইরানকে একঘরে করতে চেয়েছিল।” সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে উৎখাতের জন্য বিদেশি মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীদের সহিংসতার কথা উল্লেখ করে হাসান নাসরুল্লাহ বলেন, "এখন সিরিয়ায় যা হচ্ছে তা মূলত সেই ২০০৬ সালের যুদ্ধের প্রতিশোধ।”
তিনি আরো বলেন, "ইসরাইল জানে যে, সারসির যুদ্ধে তারা হিজবুল্লাহকে পরাজিত করতে পারবে না এবং ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ করা সম্ভব নয়। সে কারণে প্রতিরোধের বলয় থেকে বের করে নিতে তারা সিরিয়াকে বেছে নিয়েছে।
নাসরুল্লাহ বলেন, ২০০৬ সালের যুদ্ধে লেবাননের কিছু রাজনৈতিক দল সামরিক বাহিনীকে আটকে রাখতে চেয়েছিল।
নিজেদের অঙ্গীকার সম্পর্কে হাসান নাসরুল্লাহ বলেন,
লেবাননের জাতীয়
ঐক্য ও দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে সরকার গঠন করার বিষয়ে তাদের
প্রতিশ্রুতি রয়েছে।
আঞ্চলিক যুদ্ধ শিয়া-সুন্নির যুদ্ধ নয়
হাসান নাসরুল্লাহ আঞ্চলিক যুদ্ধ সম্পর্কে বলেন, কেউ কেউ আঞ্চলিক যুদ্ধকে শিয়া সুন্নির যুদ্ধ বলে অবিহিত করেছে। যারা এমন ধারণা করছে তাদের ধারণা সম্পূর্ণ রূপে ভুল। তাদের এধরণের দাবীর মূল কারণ হচ্ছে শিয়া ও সুন্নিদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা এবং এটি পুরো ভিত্তিহীন দাবী।
তিনি বলেন: আমি বিশ্বাসী যে, শিয়া ও সুন্নিদের মধ্যে ঐক্য রয়েছে। ইরাকের ফাল্লুজার সাফল্যের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ঐক্য। তাকফিরি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দায়েশ নিধনের জন্য ইরাকের সামরিক বাহিনীদেরকে সেদেশের শিয়া ও সুন্নি মাযহাবের স্বেচ্ছাসেবী যোদ্ধারা সাহায্য করেছে এবং সকলে একত্রিত হয়ে সন্ত্রাসী প্রতিরোধ করছে। আঞ্চলিক যুদ্ধ শিয়া-সুন্নির যুদ্ধ নয়, এটা প্রমাণ করার জন্য এটাই সর্বোৎকৃষ্ট দলিল।#