গাদীরে খূমের ঘটনাটি এত বেশী গুরুত্বপূর্ণ এবং এর এত বেশী দিক রয়েছে যা আলাদাভাবে আলোচনা করা সম্ভব। একদল মুমিন মুসলমান ছিলেন যারা মহানবীর ঘোষণার পূর্বেও হযরত আলীর ইমামতের বিষয়টি জানতেন এবং তার প্রতি ঈমান রাখতেন। কেননা তারা বিভিন্ন উপলক্ষে এবং সময়ে হযরত আলীর ফজিলত ও মর্যাদা সম্পর্কে অবগত ছিলেন। এবং রাসূল(সা.) তাকে কতটা বিশ্বাস করতেন ও ভালবাসতেন তা জানতেন।
মহানবী হযরত মুহাম্মাদ(সা.) দাওয়াতে যুল আশিরায় যখন হযরত আলীকে নিজের পরবর্তী খলিফা হিসাবে ঘোষণা করেন সেখানেও মানুষের প্রতিক্রিয়া ভিন্ন ভিন্ন ছিল। «وَأَنذِرْ عَشِيرَتَكَ الْأَقْرَبِينَ» যে আজকে আমাকে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিবে সে আমার খলিফা এবং উত্তরাধিকারী হবে।
ইমাম মাহদীর বেলায় ঠিক অনুরূপ: একদল বিশেষ উদ্দেশ্য হাসিল করার জন্য ইমাম মাহদীর কথা বলে থাকে। আরেক দল কোন উদ্দেশ্য হাসিল করার জন্য ইমাম মাহদীর কথা বলে না কিন্তু পরিস্থিতি তাদেরকে এই পথ থেকে সরিয়ে নিয়ে গেছে বা যাবে। তৃতীয় দল দুনিয়ার জন্য ইমামকে ভালবাসবে না কিন্তু তাদের মধ্যে বিচক্ষণতা না থাকার কারণে এবং সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপ না নেয়ার কারণে তারাও এই পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে যাবে।
আর চতুর্থ দল হচ্ছে তারা যারা ইমাম মাহদীর প্রতি ভালবাসাকে কাজে পরিণত করবে, এবং দুনিয়ার কোন মোহ তাদেরকে এই পথ থেকে দূরে সরাতে পারবে না। তারা বিচক্ষণ হবে এবং সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিবে এবং সঠিক কাজ করবে।