বার্তা সংস্থা ইকনা: প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, মুসলমানদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে উগ্র বৌদ্ধরা অনুষ্ঠানে হামলা চালায় এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠান বন্ধ করার জন্য হুমকি দেয়।
মিয়ানমারের ওলামা ইসলাম সংস্থার মহাসচিব 'কিয়াও নিইয়িন রবিবার এক বিবৃতিতে বলেন, "আমরা সারাজীবন এ অনুষ্ঠান উদযাপন করে আসছি, কিন্তু এখন সে ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘন করা হচ্ছে। আমরা কী ভুল করেছি তা না জানিয়েই বৌদ্ধ ভিক্ষুরা অনুষ্ঠান বন্ধ করার জন্য হুমকি দিয়েছে।।
সংবাদ সংস্থা এএফপি রিপোর্ট অনুযায়ী, ধর্মীয় অনুষ্ঠান পুলিশ উপস্থিত হয়েছে; তবে অনুষ্ঠান বন্ধের জন্য উগ্র বৌদ্ধ ভিক্ষুরা পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
অনুষ্ঠানের নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান টিন মং বলেন: আমরা দীর্ঘ সাত বছর যাবত কোন সহিংসতা ছাড়াই এই অনুষ্ঠান উদযাপন করে আসছি। তবে আজকে আমাদের এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। শুধুমাত্র রাজনৈতিক সুবিধার জন্য এই কাজ করা হচ্ছে।
২০১২ সালের জুন মাস থেকে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর মিয়ানমার সরকারের অত্যাচার শুরু হয় এবং প্রতিনিয়ত অত্যাচারের মাত্র বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সম্প্রতি বছরগুলোই উগ্র বৌদ্ধরাও সেদেশের সংখ্যালঘু মুসলমানদের ওপর ধর্মীয় কার্যক্রমের উপর অবরোধ, মসজিদ ও বসতগৃহ ধ্বংস এবং মুসলমানদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান উদযাপনের ক্ষেত্রে বাধা প্রয়োগ করে আসছে।
পুলিশের উপস্থিতিতে চরমপন্থি বৌদ্ধরা ২০১৬ সালের ৯ম অক্টোবর বাংলাদেশ-মিয়ানমারের সীমান্ত এলাকায় মুসলমানদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান উদযাপনে বাধা প্রয়োগ করে।
মিয়ানমারের সৈন্যরা সেদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী ওপর হামলার অজুহাত দেখিয়ে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপরে হামলা চালায়।
সৈন্যদের হামলার ফলে শতাধিক রোহিঙ্গা মুসলমান নিহত এবং প্রায় ৫০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে।
১৯৮২ সাল থেকে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা মুসলমান নাগরিক অধিকার ছাড়াই আরাকান প্রদেশে শরণার্থী শিবিরে বসবাস করছে।
বিগত কয়েকে বছর যাবত মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী এবং উগ্র বৌদ্ধদের হামলার ফলে হাজার হাজার রোহিঙ্গা মুসলমান নিজেদের বাসগৃহ ত্যাগ করে প্রতিবেশী দেশসমূহে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে।