আন্তর্জাতিক ডেস্ক; বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে ঘোষণা করেছে, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর পাশবিক অত্যাচার হতে রক্ষা পাওয়ার জন্য অক্টোবর মাস পর্যন্ত ৫০ হাজার রোহিঙ্গা মুসলমান বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে।
বার্তা সংস্থা ইকনা: বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত মিয়া মিন্ট থানকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তলব করে এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে এবং সংখ্যালঘু মুসলিম জাতির ওপর ধারাবাহিক অত্যাচার বন্ধের আহ্বান জানায়। এছাড়াও বাংলাদেশের অবৈধ ভাবে ৩ লাখ রোহিঙ্গা প্রবেশ করেছে এবং তাদের ফিরিয়ে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। মিয়ানমারের মোট জনগণের প্রায় ৪ শতাংশ জনগণ রোহিঙ্গা মুসলমান এবং তারা রাখাইন রাজ্যের আদিবাসী হিসেবে দাবী করেন। তবে মিয়ানমার সরকার তাদেরকে বাংলাদেশী অভিবাসী হিসেবে গণ্য করছে। এই কারণে, তাদেরকে নাগরিকত্ব দানের সম্মতি প্রদান করছে না মিয়ানমার সরকার। মিয়ানমারের সামরিক সৈন্য ছাড়াও সেদেশের বৌদ্ধরাও সংখ্যালঘু মুসলমানদের ওপর নির্মমভাবে অত্যাচার চালাচ্ছে। এই সহিংসতার ফলে হাজার হাজার রোহিঙ্গা নিহত এবং বাস্তুচ্যুত হয়েছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ১৯শে ডিসেম্বর ঘোষণা করেছে, মিয়ানমারের সৈন্য ও পুলিশ সেদেশের বেসামরিক রোহিঙ্গাদের উদ্দেশ্য করে গুলি বর্ষণ করছে এবং তাদেরকে পাশবিকভাবে হত্যা করছে। নারী ও মেয়েদের ধর্ষণ করছে। তাদের বসতগৃহে আগুন জ্বালাচ্ছে। পুরুষদের গ্রেফতার করছে এবং গ্রেফতারেরে পর তাদেরকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সে সম্পর্কে কোন তথ্য তারা প্রকাশ করছে না। অনেক রোহিঙ্গা মুসলমানেরা সংবাদ সংস্থা এএফপি সঙ্গে প্রদত্ত সাক্ষাতকারে তাদের প্রতি অত্যাচার, নির্যাতন, গণহত্যা এবং গ্রেফতারের বিবরণ দিয়েছে। এদিকে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ সেদেশে বিদেশী সাংবাদিক এবং গবেষকদেরকে এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে বাধা দিচ্ছে এবং তারা দাবী করছে, রোহিঙ্গাদের ওপর কোন প্রকার নির্যাতন ও সহিংসতা চালানো হচ্ছে না। বিগত তিন মাস যাবত বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষীবাহিনী রোহিঙ্গা মুসলমানদের দেশের ভিতরে প্রবেশের বাধা সৃষ্টি করছে। আজ (শুক্রবার) ভোর সাড়ে ৫টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত নাফ নদীতে রোহিঙ্গাবাহী তিনটি নৌকা ও উখিয়ার বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে ৭৬ রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো হয়। টেকনাফ বিজিবি-২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আবুজার আল জাহিদ জানান, টেকনাফের নাফ নদীর সীমান্ত দিয়ে রোহিঙ্গা বোঝাই ৩টি নৌকা অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে। বিজিবির বাধার মুখে নৌকাগুলো মিয়ানমারের দিকে ফিরে যেতে বাধ্য হয়। iqna