
বার্তা সংস্থা ইকনা: এ নিয়ে গত (মঙ্গলবার) অল ইন্ডিয়া জামিয়াতুল কুরেশি এসোসিয়েশনের এক প্রতিনিধিদল রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও বিজেপি’র কেন্দ্রীয় নেতা সিদ্ধার্থনাথ সিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাদের সমস্যার কথা জানিয়েছেন।
ল ইন্ডিয়া জামিয়াতুল কুরেশি এসোসিয়েশনের এক প্রতিনিধিদল রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও বিজেপি’র কেন্দ্রীয় নেতা সিদ্ধার্থনাথ সিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ
জামিয়াতুল কুরেশি এসোসিয়েশনের রাজ্য সভাপতি ইউসুফ কুরেশি বলেন, ছাগল এবং গবাদি পশুর গোশত ছাড়াও পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট বিভাগ মুরগি এবং মাছের দোকানও বন্ধ করে দিচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘ওই ব্যবসায়ে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে ৩ কোটি ৫৬ হাজার লোক সম্পৃক্ত রয়েছেন। তারা এখন বেকার হয়ে পড়েছেন। আমরা চাই একসঙ্গে বসে এই সমস্যার সমাধান করা হোক। রাজ্যে প্রায় ২৫০০ কসাইখানা আছে যা সরকারি।’
কুরেশি বলেন, ‘রাজ্যে প্রত্যেক বছর ১৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকার চামড়ার ব্যবসা রয়েছে যা পশু জবাই করার পর চামড়া থেকে রাজস্ব আদায় হয়। পশুর হাড়ের ব্যবসা রয়েছে ৭৫০ কোটি টাকার।
গোশত থেকে শুধু উত্তর প্রদেশেই ১১ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা হয়। অবশিষ্ট উপাদান যা থাকে তা থেকে ৩৫০ কোটি টাকার ব্যবসা হয়।’
তিনি বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে কোনো সচেতনতা কর্মসূচি বা কোনো চেকিং করা হয় না। আমাদের দাবি, সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়া হোক যারা এ পর্যন্ত ভুলভাবে কসাইখানা চালাতে দিয়েছে।’
কুরেশি বলেন, ‘গত ৩ বছর ধরে পৌরসভার পক্ষ থেকে কোনো লাইসেন্স ইস্যু করা হয়নি। এরকম অবস্থায় আমরা কীভাবে উপার্জন করব? কসাইখানা বন্ধ হওয়ার ফলে এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রায় ৩ কোটির বেশি মানুষের সামনে উপার্জনের সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে। পরিস্থিতি এমন যে এখন গোশত বিক্রেতারা আইসক্রিম বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে।’
উত্তর প্রদেশে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে সেখানে একের পর এক কসাইখানা বন্ধ হওয়ায় বহু মানুষ কাজ হারিয়েছেন। বিয়ের মত সামাজিক অনুষ্ঠানে সেখানে মহিষের গোশতও ব্যবহার করতে দেয়া হচ্ছে না।
বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি অবৈধ কসাইখানা বন্ধ করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। বিজেপি’র ফায়ারব্রান্ড নেতা যোগী আদিত্যনাথ সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসার পর থেকে কসাইখানা বন্ধ হওয়া শুরু হয়েছে। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, যেকোনো কসাইখানা বন্ধ করে দিচ্ছে পুলিশ প্রশাসন। এমনকি মহিষের গোশতের দোকানেও হামলা চালাচ্ছে বিজেপি-আরএসএস বাহিনী। সূত্র: parstoday