বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: সুয়ূতী তার তাফসীরে ইবনে আব্বাস হতে উল্লেখ করেছেন: আমি নয় মাস ধরে লক্ষ্য করেছি যে, প্রতিদিন নামাযের সময় হলে মহানবী (সাঃ) আলী (আঃ)-এর দরজার কাছে যেতেন এবং বলতেন: তোমদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক! হে নবীপরিবারের লোকেরা! আল্লাহ তো কেবল চাহেন তোমাদিগ হতে অপবিত্রতা দুর করতে এবং তোমাদিগকে সম্পূর্ণ রূপে পবিত্র করতে। এবং প্রতিদিন পাঁচবার তিনি ইহা পুনরাবৃত্তি করতেন।
সহীহ্ তিরমিজি, মুসনাদে আহমদ, মুসনাদে তায়লাসি, " মুসতাদরাকে সহীহাই” " আসাদ আল গাবা” এবং তাফসীরে তাবারী, তাফসীরে ইবনে কাসির, সুয়ূতীর তাফসীর-এর উদ্ধৃতি মতে, আনাস ইবনে মালিক বলেছেন যে, ছয় মাস সময় ধরে মহানবী (সাঃ) হযরত ফাতেমা যাহরা (আঃ)-এর দরজার পাশ দিয়ে যেতেন এবং বলতেন: হে নবী পরিবারের লোকেরা, এখন নামাযের সময়।
তিনি আরও বলতেন: হে আহলুল বাইত! আল্লাহ তো কেবল চাহেন তোমাদিগ হতে অপবিত্রতা দুর করতে এবং তোমাদিগকে সম্পূর্ণ রূপে পবিত্র করতে।
হাকিম তার মুসতাদরাকে ইমাম হাসান (আঃ)-এর সাফল্য প্রসঙ্গে এবং হাশেমী আহলে বাইত (আঃ)-এর মর্যাদা প্রসঙ্গে বর্ণনা করেন যে , ইমাম হাসান (আঃ) তার পিতা ইমাম আলী (আঃ)-এর শাহাদাতের পর জনগণ্যর উদ্দেশ্যে প্রদত্ত এক ভাষণে বলেন: হে জনগণ! আপনারা যারা আমাকে চিনেন তারা চিনেন, আর যারা না-চিনেন তাদের জানা উচিৎ যে আমি হচ্ছি হাসান ইবনে আলী। আমি মহানবী (সাঃ) এবং তার উত্তরাধিকারীর (ওসির) সন্তান। আমি তার সন্তান যিনি মানুষকে আল্লাহর দিকে আহবান করেছিলেন এবং তাদেরকে দোযখের শাস্তির ব্যাপারে সতর্ক করেছিলেন। আমি হচ্ছি প্রোজ্জ্বল আলোকবর্তিকার সন্তান। আমি ঐ পরিবারের অধিভুক্ত যাদের কাছে জিবরাঈল আগমন করতো এবং সেখান হতে বেহেশতে প্রত্যাবর্তন করতো। আমি ঐ পরিবারের অধিভূক্ত যাদের হতে আল্লাহ তা’য়ালা সকল অপবিত্রতা দুর করেছেন এবং যাদেরকে সম্পূর্ণ রূপে পূতঃপবিত্র করেছেন।
আল্লাহ আয়াত নাজিল করলেন: হে নবী পরিবারের লোকেরা! আল্লাহ তো কেবল চাহেন তোমাদিগ হতে অপবিত্রতা দুর করতে এবং তোমাদিগকে সম্পূর্ণ রূপে পূতঃপবিত্র করতে।
সে সময় সে কক্ষে জিবরাঈল, মহানবী (সাঃ) আলী, ফাতেমা, হাসান এবং হুসাইন (আঃ) ব্যতীত আর কেউ ছিল না। আমি বললামঃ হে আল্লাহর নবী! আমিও কি আহলে বাইতের লোকদের একজন? তিনি জবাব দিলেনঃ আল্লাহ তোমাকে পুরস্কৃত করবেন এবং তোমার প্রতিফল প্রদান করবেন। আমি আকাঙ্ক্ষা করতে ছিলাম তিনি বলুন‘ হ্যাঁ’ এবং দুনিয়ার অন্য যে কোন কিছুর তুলনায় এর মূল্য হতো অত্যন্ত অধিক।