IQNA

ইমাম জাওয়াদকে(আ.) বাবুল হাওয়ায়েজ বলা হয় কেন?

22:35 - August 28, 2017
সংবাদ: 2603701
দশই রজব ইসলামের ইতিহাসের এক মহাখুশির দিন। কারণ বরকতময় এই দিনে পৃথিবীতে এসেছিলেন বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা) এর পবিত্র আহলে বাইতের সদস্য নবম ইমাম হযরত জাওয়াদ বা ইমাম তাকি(আ)।

বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: ইমাম জাওয়াদ (আ) ১৭ বছর ইমামতের দায়িত্ব পালনের পর মাত্র ২৫ বছর বয়সে শাহাদত বরণ করেন। তিনিই হলেন ইসলামের ইতিহাসের সবচেয়ে কম বয়স্ক ইমাম। ইমাম জাওয়াদ (আ) মাত্র আট বছর বয়সে ইমামতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এতো অল্প বয়সে তাঁর ইমামতিত্বের বিষয়টি ছিল যথেষ্ট বিস্ময়কর।

কোরানের আয়াতের ভিত্তিতে পূর্ববর্তী উম্মতের মধ্যেও এরকম উদাহরণ বহু আছে। যেমন শিশুকালে হযরত ইয়াহিয়া (আ) এর নবুয়্যত প্রাপ্তি, মায়ের কোলে নবজাতক ঈসা (আ) এর কথা বলা ইত্যাদি সর্বশক্তিমান আল্লাহর অশেষ ক্ষমতারই নিদর্শন।

ইমাম জাওয়াদ (আ) শৈশব-কৈশোরেই ছিলেন জ্ঞানে-গুণে, ধৈর্য ও সহনশীলতায়, ইবাদত-বন্দেগিতে, সচেতনতায়, কথাবার্তায় শীর্ষস্থানীয় মহামানব।

একবার হজ্জ্বের সময় বাগদাদ এবং অন্যান্য শহরের বিখ্যাত ফকীহদের মধ্য থেকে আশি জন মদীনায় ইমাম জাওয়াদ (আ) এর কাছে গিয়েছিলেন। তাঁরা ইমামকে বহু বিষয়ে জিজ্ঞেস করে অত্যন্ত যুক্তিযুক্ত ও সন্তোষজনক জবাব পেলেন। ফলে জাওয়াদ (আ)’র ইমামতিত্বের ব্যাপারে তাদের মনে যেসব সন্দেহ ছিল-তা দূর হয়ে যায়।

মহানবী হযরত মুহাম্মাদ(সা.) বলেছেন: আল্লাহ দানশীল এবং তিনি দানশীলদেরকে পছন্দ করেন। ইমাম জাওয়াদ(আ.) যেহেতু অধিক পরিমাণে দান খয়রাত করতেন আর তার একটি বড় উপাধিও হচ্ছে জাওয়াদ তথা অধিক দানশীল। সুতরাং যারাই ইমাম জাওয়াদের ওসিলা দিয়ে আল্লাহর কাছে কিছু চায় আল্লাহ তা পূরণ করেন। কেননা ইমাম জাওয়াদ আল্লাহ অধিক প্রিয় এবং মনোনীত বান্দা এবং হুজ্জাত। শাবিস্তান
captcha