IQNA

১৪ জিলহজ মাওলা আলীকে ইমামতের পদ দান করা হয়

19:11 - September 05, 2017
সংবাদ: 2603763
যারা মাওলা আলীর প্রকৃত অনুসারী তারা কখনোই দুনিয়ার পিছনে ছোটে না এবং কোন প্রলোভনই তাকে ইমাম থেকে সরিয়ে নিতে পারে না। যেমন সালমান, মালেক আশতার, মিসামে তাম্মার, আবুজার গিফারি, কাম্বার প্রমুখ তারা সর্বদা ইমামের অনুসরণ করতেন।
১৪ জিলহজ মাওলা আলীকে ইমামতের পদ দান করা হয়
বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: হাদিসে বর্নিত হয়েছে, کَلِمَةُ لا إلهَ إلّا اللّهُ حِصنی فَمَن دَخَلَ حِصنی اَمِنَ مِن عَذابی؛ কলেমা লাইলাহা ইল্লাল্লাহ হচ্ছে আল্লাহর দূর্গ যারা এই দূর্গে প্রবেশ করবে তারা আল্লাহর আযাব থেকে মুক্তি পাবে। অনুরূপভাবে «وَلَايَةُ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ حِصْنِي‏ فَمَنْ‏ دَخَلَ‏ حِصْنِي أَمِنَ مِنْ عَذَابِي» মাওলা আলীর বেলায়াত তথা ইমামতও হচ্ছে আল্লাহর দূর্গ, যারা ইমাম আলীর অনুসরণ ও আনুগত্য করবে তারা শয়তানের অনিষ্ট থেকে নিরাপদে থাকেব।

১৪ই জিলহজ মহানবী হযরত মুহাম্মাদ(সা.) ইমাম আলীর বেলায়াত ও ইমামরেত বিষয়টি আয়েশাকে বলেন এবং তাকে অন্য কাউকে বিষয়টি জানাতে নিষেধ করেন। কিন্তু আয়েশা সাথে সাথে হাফসাকে জানায় অতপর আবু কবর ও ওমরকেও জানায়। তারপর তারা সবাই মিলে মহনবীকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করলে মহান আল্লাহ সূরা তাহরীমের মাধ্যমে তাদের ষড়যন্ত্রের বিষয়টি ফাস করে দেন এবং মহানবী বুঝতে পারেন।

১৪ই জিলহজে মহানবী মাওলা আলীকে সকল জ্ঞান শিক্ষা দেন তার মধ্যে নবুয়্যতের জ্ঞানও ছিল। এভাবে মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে মহানবী যত জ্ঞান ও নেয়ামত লাভ করেছিলেন তা তিনি মাওলা আলীকে শিক্ষা দেন। আর এবঅবে মাওলা আলী সকল জ্ঝানের অধিকারী, মানইন্দাহু ইলমুল কিতাব এবং মহানবীর জ্ঞানের দরজায় পরিনত হন।

ইমাম রেজা(আ.) বলেছেন: «الاِمام الاَنیس الرّفیقُ و الوالِدُ الشَّفیقُ و الاَخ الشقیق و الاُمُّ البَرَّه بِالوَلَدِ الصَّغیر وَ مَفْزَعُ الْعِبَادِ فِي الدَّاهِيَةِ النَّآدِ؛  ইমাম হলেন, বিশ্বস্ত বন্ধু, দয়ালূ পিতা, মমতাময়ী মা, জমজ ভাই এবং সকল সমস্যায় মানুষের আশ্রয়স্থল। শাবিস্তান
captcha