
শাবিস্তানের উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: ৯ই জিলহজ থেকে শুরু করে ২৫ জিলহজ পর্যন্ত মাওলা আলীর শানে অনেক আয়াত অবতীর্ণ হয়েছে, যা ইমাম আলীর ইমামত ও বেলায়াতের প্রমাণ বহন করে।
ঘটনাগুলো হচ্ছে: ১- সাদ্দুল বাব তথা সবার দরজা বন্ধ করে দেয়া হয় শুধু মহানবী আর ইমাম আলীর দরজা ছাড়া। ২-সূরা তওবা প্রচার, ৩- হাদিসে সাকালাইন, ৪-১২ই জিলহজ মহানবীর সকল জ্ঞানকে হযরত আলীকে দান করা।৫-১৩ই জিলহজ আমিরুল মু’মিনিন লাকাব দান করা, ৬-১৭ই জিলহজ মোয়াদ্দাতের আয়াত নাজিল হয়, ৭-১৭ ও ১৮ জিলহজে তাবলীগের আয়াত নাজিল হয়। ৮-মাওলা আলী এবং মহানবী ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হন ১৮ই জিলহজ। ঈদে গাদীর ১৮ই জিলহজ। ৯- ঈদে মোবাহেলা ২৪ জিলহজ, ১০- আয়াতে তাতহীর এবং সূরা দাহর ২৫ ও ২৬ জিলহজ।
আল্লাহর রাসূল (স.) একদিন মদিনা ও মক্কার মধ্যবর্তী স্থলে "খুম" নামক একটি জলাশয়ের কাছে খোতবা দান করেন। উক্ত খোতবায় তিনি আল্লাহর প্রশংসার পর লোকদেরকে নসিহত করে বলেন:
ألا أيّها الناس، فانّما أنا بشرٌ يوشک أن يأتی رسول ربّی فأجيب، و أنا تارکت فيکم ثقلين: أولهما کتاب الله فيه الهدی و النور، فخذوا بکتاب الله و استمسکوا به -فحث علی کتاب الله و رغّب فيه ثم قال: - و أهل بيتی، أذکرکم الله في أهل بيتی، أذکرکم الله فی اهل بيتی، أذکرکم الله فی اهل بيتی
হে লোকসকল! আমি একজন মানুষ। খুব শিগগিরি আমার প্রভুর নিযুক্ত ব্যক্তি (তথা মৃত্যুর ফেরেশতা) আমার কাছে আসবে এবং আমিও তাঁর আহ্বানে সাড়া দেব। আমি তোমাদের মাঝে দু'টি অতি মূল্যবান জিনিস রেখে যাচ্ছি; যার একটি হল আল্লাহর কিতাব; যাতে রয়েছে নূর এবং হেদায়েত। আল্লাহর কিতাবকে শক্তভাবে আঁকড়ে ধর। রাসূল (স.) আল্লাহর কিতাবের উপর আমল করার বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে অত:পর বলেন: আর অপরটি হলো আমার আহলে বাইত। আমার আহলে বাইতের বিষয়ে তোমাদেরকে মহান আল্লাহর কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি (অর্থাৎ মহান আল্লাহকে ভয় করে তাদেরকে অনুসরণ কর) এই বাক্যটিকে তিনি তিনবার উচ্চারণ করেন। সূত্র: সহীহ মুসলিম, ৪র্থ খণ্ড, পৃ.১৮০৩।