ভারতকে সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষক ঘোষণা করতে জাতিসংঘে পাকিস্তানের তদবির

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতকে ‘সন্ত্রাসের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষক’ ঘোষণা করতে জাতিসংঘে তদবির করছে পাকিস্তান। এ ক্ষেত্রে সফল হলে ভারতের উপর বিভিন্ন ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা সহজ হবে।

বার্তা সংস্থা ইকনা: বিশ্বস্তসূত্রের বরাত দিয়ে ডেইলি এক্সপ্রেস জানায়, ইসলামাবাদ ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর বারবার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের বিষয়টি বিশ্ব ফোরামে উত্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শাহীদ খাকান আব্বাসির অনুমোদনের পর জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাবটি উত্থাপন হবে। এ ব্যাপারে নিরাপত্তা পরিষদের ভেটো অধিকারী সদস্য, বিশেষ করে চীন ও রাশিয়ার কাছ থেকে সমর্থন আদায় সহজ হবে বলে ইসলামাবাদ মনে করে।
এ বিষয়ে ইতোমধ্যে বেইজিং-এর সায় পাওয়া গেছে বলে জানা যায়। বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের কাছেও জোরালোভাবে তুলে ধরা হবে। আব্বাসি ও মার্কিন ভাইস-প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স-এর মধ্যে বৈঠকে একটি সমঝোতার ভিত্তিতে আগামী মাসে একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল ইসলামাবাদ যাচ্ছে।
সূত্র জানায়, কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখায় বরাবর উত্তেজনা সৃষ্টির কারণে ভারতের উপর কূটনৈতিক চাপ তৈরির জন্য যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি দলকে অনুরোধ করবে পাকিস্তানি কর্মকর্তারা।
এই সপ্তাহে পাকিস্তানি সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে ভারতীয় বাহিনীর বেপরোয়া গুলি এবং বোমা হামলায় অন্তত সাত জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে। জাতিসংঘে তার প্রথম বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী আব্বাসি গোয়েন্দা সংস্থা ও প্রক্সির মাধ্যমে পাকিস্তানে গোপন অভিযান চালানো বন্ধ করতে ভারতের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি পাকিস্তানের অভ্যন্তরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ভারতের সম্পৃক্ততার প্রমাণ জাতিসংঘ মহাসচিব কাছে হস্তান্তর করেছেন।
এই অভিযোগগুলোর পিছনে যথেষ্ট যুক্তিও আছে। ভারতের শীর্ষ গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং (র) এর একজন এজেন্ট কুলভূষণ যাদবকে গত বছরের মার্চে ইরান থেকে বেলুচিস্তানে প্রবেশের সময় গ্রেপ্তার করা হয়। যাদব স্বীকার করেন যে পাকিস্তানে বিশেষ করে বেলুচিস্তান ও করাচিতে সন্ত্রাসবাদ উস্কে দিতে ‘র’ তাকে নিযুক্ত করে। পাকিস্তানের সামরিক আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে।
সূত্র জানায়, যাদবের স্বীকারোক্তি এবং সীমান্তে ভারতীয় আগ্রাসন নিয়ে নরেন্দ্র মোদী’র সরকারের বিরুদ্ধে ‘কড়া-ভাষায় একটি প্রস্তাব’ তুলতে যাচ্ছে ইসলামাবাদ। আরটিএনএন