বার্তা সংস্থা ইকনা: বিষয়টি নিয়ে এরইমধ্যে মুসলমানদের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকেই মনে করছেন, যেসব ব্যক্তির নাম তালিকায় থাকবে না তাদেরকে দেশ থেকে বহিষ্কার করা হবে। ভারত সরকারের অনেক কর্মকর্তা দাবি করে আসছেন, প্রতিবেশী বাংলাদেশ থেকে বহু মুসলমান আসামে গেছেন এবং তাদেরকে বহিষ্কার করা উচিত। তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, ভারত সরকার এ প্রক্রিয়া অনুসরণ করলে লাখ লাখ মানুষ রাষ্ট্রহীন হয়ে পড়বে।
তালিকা চূড়ান্ত করার আগে বহু মুসলমান ভারতীয় আদালতের স্মরণাপন্ন হয়েছেন এবং নাগরিকত্ব প্রমাণ করেছেন কিন্তু তারাও চূড়ান্ত তালিকায় ঠাঁই পাবেন কিনা তা নিশ্চত নয়। গত কয়েক বছরে আসামের ডিটেনশন ক্যাম্পগুলোতে বহু মুসলমানকে রাখা হয়েছে।
ভারতের সরকারগুলো বিভিন্ন সময় দাবি করে আসছে- ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসন থেকে স্বাধীন হয়ে ভারত-পাকিস্তান সৃষ্টির পর বাংলাদেশ অংশ থেকে বহু মুসলমান আসামে বসতি গড়ে তুলেছেন। কিন্তু মুসলিম জাতি-তত্ত্বের ওপর ভিত্তি করে পাকিস্তান ও ভারত বিভক্ত হওয়ার কারণে বরং আসাম থেকে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে মুসলমানরা গেছেন। সে কারণে ভারত সরকারের দাবি অযৌক্তিক বলেই মনে করেন পর্যবেক্ষকরা। এছাড়া, ভারতে বহুবার সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়েছে যার নির্মম শিকার মুসলমানেরা। ফলে বাংলা অঞ্চল থেকে মুসলমানদের আসামে যাওয়ার কথা নয় বরং আসাম থেকে পূর্ব পাকিস্তান বা পরবর্তীতে বাংলাদেশে আসাটাই স্বাভাবিক। পাসর্টুডে