বার্তা সংস্থা ইকনা: অবশ্য এর আগেও ইরাক পুনর্গঠনে ইরানের ভূমিকা ছিল। ইরাকের বিদ্যুত সংযোগ লাইন সম্প্রসারণ, বিদ্যুৎ সরবরাহ ও ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন মাজার সংস্কারে ইরানের বিরাট অবদান রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ায় ইরান দায়েশের বিরুদ্ধে যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে এবং এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর দখল থেকে ইরাক ও সিরিয়াকে মুক্ত করেছে। নিরাপত্তাগত বিষয় ছাড়াও আরো বহু কারণে ইরান ও ইরাকের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা বজায় রয়েছে।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইরাকে দায়েশ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ এবং দেশটির পুনর্গঠনে ইরানের সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে বলেছেন, "ইরাক পুনর্গঠন বিষয়ে এর আগে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে দেয়া প্রতিশ্রুতি তেহরান পালন করেছে। এবারও ইরাক পুনর্গঠনে ইরান অংশগ্রহণ করবে।"
যুদ্ধের পর ফের মানবিক বিপর্যয় রোধে জন্য পুনর্গঠন কাজ অত্যন্ত জরুরি। বিশেষ করে অভিন্ন ইতিহাস, ঐতিহ্য, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক বন্ধন ওই প্রয়োজনীয়তাকে আরো বাড়িয়ে দেয়। দায়েশ পরবর্তী ইরাক পুনর্গঠনে ইরানের অংশগ্রহণও এরই আলোকে মূল্যায়ন করতে হবে। যাইহোক, ইরাক পনুর্গঠনে আন্তর্জাতিক সমাজের অংশগ্রহণ দুটি কারণে গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত, এর ফলে ইরাকের অবকাঠামো পুননির্মাণসহ দেশটির জনগণ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাবে। দ্বিতীয়ত, ইরাকসহ গোট ওই অঞ্চলে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, উগ্র তাকফিরি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দায়েশের হাতে ধ্বংসের বিভীষিকা কাটিয়ে উঠতে ইরাক পুনর্গঠন বিরাট সুযোগ এনে দিয়েছে। অবকাঠামো ছাড়াও দায়েশের হাতে ইরাকের বহু ঐতিহাসিক স্থাপনারও অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। তবে এটা ভুলে গেলে চলবে না যে, দায়েশের এই অপকর্মের সাথে তাদের সমর্থক মার্কিন নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক জোটেরও হাত ছিল। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ওই জোটের হামলায় ইরাকের চার হাজার ৫০০ কোটি ডলারের অবকাঠামোর ক্ষতি হয়েছে।
এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনে দৈনিক ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল লিখেছে, ইরাক সরকারের দেয়া তথ্য ও বিশ্বব্যাংকের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, মার্কিন নেতৃত্বাধীন সন্ত্রাস বিরোধী কথিত আন্তর্জাতিক জোটের হামলায় ইরানের স্কুল, বিদ্যুত কেন্দ্র, আবাসিক ভবনসহ বহু বেসামরিক অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে। পার্সটুডে