বার্তা সংস্থা ইকনা: ডেন্টিস্ট হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে অধ্যয়নরত মজিজিয়া ভানু ইতোমধ্যেই ভারোত্তলন প্রতিযোগিতায় বেশ কিছু পদক জিতে নিয়েছেন। কিন্তু তার সর্বশেষ বিজয় তার জন্য একটি বিস্ময় হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি তারিখে কেরালার ভারোত্তলন সংস্থার আয়োজনে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় মজিজিয়া ‘বেস্ট উইমেন ফিটনেস বডি’র পুরস্কার পান।
সেই দিনটির কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘প্রতিযোগিতায় আমি যখন জিতে যাই, তখন আমি সম্পূর্ণরূপে আতঙ্কিত ছিলাম।’
মজিযাজিয়া এনডিটিভিকে বলেন, ‘আমি শরীরচর্চায় এসেছি অনেকটা ঘটনাক্রমে। এর জন্য আমার উৎসাহদাতা হচ্ছেন আমার বাগদত্তা। শরীরচর্চা সম্পর্কে প্রাথমিকভাবে আমি দ্বিধাগ্রস্ত ছিলাম কারণ আমি মনে করতাম এজন্য আমাকে আমার শরীরকে প্রকাশ করতে হবে। কিন্তু আমার বাগদত্তা আমাকে মিশরের মতো দেশের শরীরচর্চা করা হিজাব পরিহিত মুসলিম নারীদের ছবি দেখিয়েছে এবং এরপর আমি ভাবলাম আমি এটা করতে পারি।’
কেরালা রাজ্যের ভারোত্তলন অ্যাসোসিয়েশনের ‘শক্তিশালী নারী’ শিরোনামের প্রতিযোগিতায় তিনি তৃতীয় হন। তিনি ২০১৬ সালের শেষের দিকে তার ভারোত্তলন প্রশিক্ষণ শুরু করেন। এই অল্প সময়ে তার এমন সাফল্য অনেকের জন্যই বিশ্বাস করা কঠিন।
তার জিম প্রশিক্ষক শাহামাজ বলেন, ‘তিনি একজন ছেলের মতো করে প্রশিক্ষণ নিয়েছে। আমি মনে করি, সে যেভাবে প্রশিক্ষণ নিয়েছে, তা একজন ছেলেও সাধারণত নেন না। প্রশিক্ষণে তিনি তার সবটাই ঢেলে দিয়েছেন। এই ধরনের প্রশিক্ষণে হিজাব পরিহিত নারীদের সাধারণত দেখা যায় না। কিন্তু তিনি তার অসুবিধা সকল বাধাকে অতিক্রম করেছে।’
তৃপ্তির হাসি দিয়ে মজিজিয়া জানান, ‘আমার একটা বার্তা রয়েছে আর সেটি হচ্ছে- আমি আমার হিজাবে স্বাচ্ছন্দবোধ করি এবং আমি যা চাইছি তা অনুসরণ করছি। আমাকে সমর্থন করার জন্য আমি আমার বাবা-মা এবং আমার বাগদত্তার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। নারীদের তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে বাধা জওয়া উচিত নয়।’ এনডিটিভি