IQNA

১৫ই শাবানে যায়েরদের সেবার জন্য কারবালায় ৬৫০টি তাঁবু প্রস্তুত

0:11 - May 01, 2018
সংবাদ: 2605656
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইমাম হুসাইন (আ.) ও হযরত আব্বাস (আ.)এর পবিত্র মাযারের মাওয়াকিব ও শাওয়ায়ের বিভাগের প্রধান বলেছেন, ১৫ই শাবান তথা শবে বরাতে যায়েরদের সেবার জন্য কারবালায় ৬৫০টি তাঁবু প্রস্তুত করা হবে।

১৫ই শাবানে যায়েরদের সেবার জন্য কারবালায় ৬৫০টি তাঁবু প্রস্তুত


বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: নাজাফ, কারবালা, সামেররা কাজেমাইনে ১৫ই শাবনের অনুষ্ঠান পালনের জন্য সকল প্রকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
নাজাফে আমিরুল মু'নিন হযরত আলীর (আ.) মাজারে, কারবালায় ইমাম হুসাইন এবং হযরত আব্বাসের মাজারে এবং সামেরররা ও কাজেমাইনে ইমাম কাজেম, ইমাম জাওয়াদ ইমাম হাদি এবং ইমাম আসকারীর মাজারে ইমাম মাহদীর জন্মদিনের অনুষ্ঠান পালিত হবে।
ইমাম হুসাইন (আ.) ও হযরত আব্বাস (আ.)এর পবিত্র মাযারের মাওয়াকিব ও শাওয়ায়ের বিভাগের প্রধান রিয়াদ নেয়ামাত সালমান বলেছেন: ইমাম হুসাইন (আ.) ও হযরত আব্বাস (আ.)এর পবিত্র মাযারের পক্ষ থেকে যায়েরদের পান করার জন্য প্রতিটা তাবুতে বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এছাড়াও কারবালা নাযাফের পরিবহন কমিটির ভারপ্রাপ্ত প্রধান হায়দার আব্দুল জব্বার আব্দুল হামিদ বলেন: জিয়ারতকারীদের পরিবহন সেবা প্রদানের জন্য কারবালার রুটে ১৫০টি বাস এবং মিনিবাস চালু থাকবে।
রাসূলে খোদা (সা.) বলেছেন, শাবান মাসের মধ্য রজনীতে অর্থাৎ ১৫ই শাবানের রাতে ঘুমিয়ে ছিলাম। এমন সময় জিবরাইল (আঃ) আমার নিকট উপস্থিত হয়ে বলল , হে মুহাম্মাদ! কিভাবে আপনি এ রাতে ঘুমিয়ে আছেন? জিজ্ঞাসা করলাম , হে জিবরাইল! কেন এ রাত এমন কি রাত? সে বলল, এ রাত হচ্ছে ১৫ই শাবানের রাত। হে মুহাম্মাদ, উঠুন!

এর পর সে আমাকে শোয়া থেকে উঠাল এবং জান্নাতুল বাকী কবরস্থানে নিয়ে গিয়ে বলল , আকাশের দিকে চেয়ে দেখুন! আজ রাতে আসমানের দরজা সমূহ খুলে যাবে। রহমতের দরজা সমূহ খুলে যাবে এবং খুলে যাবে সকল সুখ , সমৃদ্ধি , ক্ষমা , রুযি , পরিত্রাণ পাওয়া ও পুনর্জীবিত হওয়ার দরজা সমূহ ও আরও অন্যান্য ...।

মহান আল্লাহ্ এ রাতে চারপায়ী জন্তুর গায়ের চুল ও পশমের পরিমাণ নিজ বান্দাগণকে জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি দান করবেন। এ রাতে তিনি মৃত্যুর সময় এবং আগামী এক বছরের রিজিক (এখানে সকল নেয়ামতকেই বুঝান হয়েছে) নির্ধারণ করবেন।

হে মুহাম্মদ! যারা এ রাতে জাগ্রত থেকে আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’য়ালাকে পবিত্র ও একক সত্তা জেনে তাঁর জিকির করবে , তাকে রাজী-খুশি করার জন্য নামায-দোয়া পড়বে , পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত করবে ও অধিক পরিমাণে আসতাগফার করে রাতকে প্রভাতে পৌঁছাবে তাদের স্থান হবে জান্নাতে এবং তারা এর পূর্বে যা কিছু গোনাহ আঞ্জাম দিয়েছে ও পরবর্তীতে আঞ্জাম দিবে তাও ক্ষমা করে দিবেন...।

দ্বিতীয় হিজরির ১৫ই শাবানের মধ্য রাতে উক্ত ঘটনাটি সংঘটিত হয়।

আর তখন থেকেই শবে বরাতের এ রসম-রেওয়াজ প্রচলিত হয়।

সূত্র: ইবনে তাউউস , আলী বিনমুসা , ইকবালুল আ’মাল , পৃ.- ২১২ , বৈরুত প্রিন্ট , প্রকাশক - মুয়াস্সিসাতুল আয়া’লামিলিল মাতবুআ’ত, ১৪১৭ হিজরী । আল্ মাজলিসি , মুহাম্মদ বাকির / বিহরুল আনওয়ার , খণ্ড-৯৮ ,পৃ.-৪১৩, বৈরুত প্রিন্ট, প্রকাশক - মুয়াস্সিসাতুল ওয়াফা, ১৪০৩ হিজরী।

iqna

 ১৫ই শাবানে যায়েরদের সেবার জন্য কারবালায় ৬৫০টি তাঁবু প্রস্তুত

 

captcha