IQNA

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে স্থগিতাদেশ নয়: সুপ্রিম কোর্ট

22:36 - December 18, 2019
সংবাদ: 2609856
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের সুপ্রিম কোর্ট মুসলমানদেরকে বৈষম্যমূলক বিবেচনা করে নতুন নাগরিকত্ব আইন প্রয়োগ বন্ধ করার জন্য মুসলিমদের আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে। এই আইনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এটি স্থগিত রাখার আবেদনের শুনানি পিছিয়েছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।

বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) আগামী বছরের ২২ জানুয়ারি এবিষয়ে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়।

নতুন নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতা করে এর প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে পুরো দেশ। ওই আইনের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় বিরোধীরা। আইনটির বিরোধিতা করে প্রায় ৬০টি আবেদন জমা পড়ে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে।

বুধবার ভারতের সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতির বেঞ্চ ওই আইনের প্রয়োগ স্থগিত রাখার আবেদন খারিজ করে দিয়ে বলেন, আগামী ২২ জানুয়ারি এই আইনটি স্থগিত রাখার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

গত ৪ ডিসেম্বর নাগরিকত্ব সংশোধন বিল অনুমোদন দেয় দেশটির মন্ত্রীসভা। এরপর তা সংসদের উভয়পক্ষে পাস হয়। পরে বিলটিতে রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর করলে তা আইনে পরিণত হয়। এই আইনের ফলে দেশটিতে অবস্থান করা বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি ও খ্রিস্টান ধর্মের অবৈধ অভিবাসীরা নাগরিক হওয়ার আবেদন করতে পারবেন। তবে মুসলিমরা নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন না।

হিন্দু জাতীয়তাবাদী সরকার নরেন্দ্র মোদীর সাম্প্রতিক বছরগুলোয় কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন বাতিল করতে এবং একটি নতুন নাগরিকত্ব বিলের প্রস্তাব দেওয়ার জন্য মুসলমানদের উপর চাপ বৃদ্ধি করেছে।

মোদী দাবি করেছে যে, গত বুধবার ভারতীয় সংসদে পাস হওয়া এবং রাষ্ট্রপতির দ্বারা আইনে স্বাক্ষরিত নাগরিকত্ব বিলটির উদ্দেশ্য বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের রক্ষা করা।

ভারতের মুসলিম কর্মীরা আইনটিকে মুসলমানদের প্রান্তিককরণের জন্য মোদী সরকার কর্তৃক আরেকটি ইসলামবিরোধী পদক্ষেপ হিসাবে দেখছেন।  iqna

 

 

captcha