আন্তর্জাতিক বিভাগ: হিজাবী শিক্ষার্থীদের মেডিকেল প্রবেশিকা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে না দেওয়ার ফলে সেদেশের সংখ্যালঘু মুসলিম ও খ্রিস্টান জনগণ প্রতিবাদ করেছে।
ভারতের মুসলিম হিজাবী ছাত্রী রেহানা বলেন: “যদি আমার হিজাব খুলতে হয়, তাহলে আমি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করব না। কারণ আমি ধর্মকে ঝুঁকির মধ্যে ঠেলে দিতে পরি না”।
রেহানা ছাড়াও সাবা নামের ভারতের ১৯ বছরের ক্যাথলিক এক সন্ন্যাসিনী হিজাবের কারণে মেডিকেল প্রবেশিকা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেনি।
সাবা বলেন: পরীক্ষার হলে প্রবেশের পূবে আমারে বাধা দেওয়া হয় এবং কলেজ প্রধান আমার নিকট এসে বললেন, যদি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে চাও তাহলে হিজাব খুলে ফেল।
ক্যাথলিক চার্চের রাহাব ‘মাকানকারা’ এ ঘটনাকে তীব্র নিন্দা জানিয়ে অতি উদ্বেগজনক হিসেবে গণ্য করেছেন।
তিনি বলেন: আমরা সংঘাত তৈরি করতে চান না। তবে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার জন্য এক সন্ন্যাসিনীর হিজাব খুলতে বলা অতি উদ্বেগজনক।
কিছুদিন পূর্বে ভারতের মেডিকেল প্রবেশিকা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার জন্য নতুন আইন পাশ করা হয়েছে। নতুন আইন অনুযায়ী, পরীক্ষায় প্রতারণা প্রতিরোধের জন্য কেউ হিজাব ব্যবহার করতে পারবে না বলে উল্লেখ রয়েছে।
এ আইন এ জন্য পাশ করা হয়েছে, যাতে ভবিষ্যতে মুসলিম শিক্ষার্থীরা এ ধরেনের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে না পরে।
গত সপ্তাহে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট সেদেশের কেরালা প্রদেশে এ আইন প্রয়োগের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। আর এ জন্য কেরালা প্রদেশের মুসলিম শিক্ষার্থীরা স্বস্তি ফিরে পেয়েছে।
ভারতে দীর্ঘ দিন যাবত মুসলমানদের বিরুদ্ধে বৈষম্য সৃষ্টি করছে সেদেশের কর্তৃপক্ষরা। আর এ জন্য সেদেশের সংখ্যালঘু মুসলমানেরা প্রতিনিয়ত প্রতিবাদ করছে।
3335715