
কুদস প্রেসের বরাত দিয়ে ইকনা জানায়, ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি শাসকগোষ্ঠীর অব্যাহত অপরাধের নিন্দা জানিয়েছে।
সর্বশেষ অপরাধে ইসরায়েলি বাহিনী একটি স্কুলে বোমাবর্ষণ করেছে যেখানে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা আশ্রয় নিয়েছিলেন। এই হামলায় ৭ ফিলিস্তিনি শহিদ এবং কয়েক ডজন নিরীহ বেসামরিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। এটি আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন।
সংস্থাটি আবারও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছে। তারা ইসরায়েলের সকল অপরাধ ও লঙ্ঘন বন্ধ, স্থায়ী ও ব্যাপক আগুনবিরতি প্রতিষ্ঠা, মানবিক সাহায্যের অবাধ ও অবরুদ্ধ প্রবেশ এবং দখলদার বাহিনীর গাজা থেকে সম্পূর্ণ প্রত্যাহার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে।
ওআইসি এছাড়া আন্তর্জাতিক ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থা সক্রিয় করার ওপর জোর দিয়েছে যাতে এই ভয়াবহ অপরাধে জড়িত সব ইসরায়েলি কর্মকর্তাকে আইনের আওতায় আনা যায় এবং তারা শাস্তি থেকে পালাতে না পারে।
৭ অক্টোবর ২০২৩ থেকে আমেরিকা ও ইউরোপের সমর্থনে ইসরায়েল গাজায় গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে, যার মধ্যে রয়েছে হত্যা, ক্ষুধা, ধ্বংস, বাস্তুচ্যুতি ও নির্বিচারে গ্রেপ্তার। তারা জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) নির্দেশ উপেক্ষা করছে।
এই গণহত্যায় ২৩৯ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত বা আহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশ শিশু ও নারী। এছাড়া ১১ হাজারেরও বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। লক্ষ লক্ষ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন এবং অনেকে— বিশেষ করে শিশুরা— ক্ষুধায় মারা যাচ্ছেন। ইসরায়েলের ব্যাপক ধ্বংসের ফলে গাজার অধিকাংশ শহর ও জেলা মানচিত্র থেকে মুছে গেছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আজ সোমবার জানিয়েছে, গত ৪৮ ঘণ্টায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের ধারাবাহিকতায় ১২ জন শহিদ এবং ৭ জন আহত হয়েছেন।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিহতদের মধ্যে ৪ জন ইসরায়েলি গুলি ও হামলায় শহিদ হয়েছেন এবং ৮ জন ধ্বংসস্তূপ ও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে: এখনো অনেক শহিদ ধ্বংসস্তূপের নিচে বা রাস্তায় রয়ে গেছেন। অসুরক্ষিত পরিস্থিতি ও সরঞ্জামের অভাবে উদ্ধারকারী দলগুলো এখনো তাদের কাছে পৌঁছাতে পারেনি। 4324476#