IQNA

রাসেখুনা ফিল ইলম তথা নিশ্চিত জ্ঞানের অধিকারী ব্যক্তিরা কারা?

19:21 - September 08, 2015
সংবাদ: 3360628
চিন্তা ও দর্শন বিভাগ: কিছু মানসিক সমস্যার লোক আছে যারা বিজ্ঞান ও উচ্চ শিক্ষা সম্পর্কে কিছু বুঝতে পারে না তখন তা অস্বীকার বা প্রত্যাখ্যান করে।

শাবিস্তান বার্তা সংস্থার রিপোর্ট: ইমাম বাকের(আ.) বলেছেন, যদি কেউ জানতে চায় নিশ্চিত জ্ঞানের অধিকারী ব্যক্তিরা কারা? উত্তর হচ্ছে যার জ্ঞঅনের মধ্যে কোন মত পার্থক্য নেই। আর সেই ব্যক্তি হচ্ছেন মহানবী হযরত মুহাম্মাদ(সা.) ও তার পবিত্র আহলে বাইত।

পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে:

هُوَ ٱلَّذِیۤ أَنزَلَ عَلَیْکَ ٱلْکِتَابَ مِنْهُ آیَاتٌ مُّحْکَمَاتٌ هُنَّ أُمُّ ٱلْکِتَابِ وَأُخَرُ مُتَشَابِهَاتٌ فَأَمَّا الَّذِینَ فِى قُلُوبِهِمْ زَیْغٌ فَیَتَّبِعُونَ مَا تَشَابَهَ مِنْهُ ٱبْتِغَاءَ ٱلْفِتْنَةِ وَٱبْتِغَاءَ تَأْوِیلِهِ وَمَا یَعْلَمُ تَأْوِیلَهُ إِلاَّ ٱللَّهُ وَٱلرَّاسِخُونَ فِى ٱلْعِلْمِ یَقُولُونَ آمَنَّا بِهِ کُلٌّ مِّنْ عِندِ رَبِّنَا وَمَا یَذَّکَّرُ إِلاَّ أُوْلُواْ ٱلأَلْبَابِ

(হে রাসূল!) তিনি তোমার ওপর (এ) গ্রন্থ অবতীর্ণ করেছেন যাতে কতিপয় আয়াত ‘মুহকাম’ (দ্ব্যর্থহীন ও স্পষ্ট) যেগুলো এ গ্রন্থের মূল; এবং অন্যগুলো ‘মুতাশাবিহ’ (বিভিন্ন অর্থবাহী আয়াত), যাদের অন্তরে বক্রতা আছে তারা তার মধ্য হতে মুতাশাবিহ (আয়াত) গুলোর অনুসরণ করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি এবং তাকে (নিজেদের মনগড়া অর্থের দিকে) ফিরিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে। অথচ আল্লাহ ও নিশ্চিত জ্ঞানের অধিকারী ব্যক্তিরা  ব্যতীত তার প্রত্যাবর্তনস্থল (আসল মর্ম) কেউ জানে না; তারা (এও) বলে, ‘আমরা এর প্রতি বিশ্বাস করি, (এ) সবই (মুহকাম ও মুতাশাবিহ) আমাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে’; আর বোধসম্পন্নরা ব্যতীত কেউ শিক্ষা (ও উপদেশ) গ্রহণ করে না।

আনাস ইবনে মালিক বলেন যে, তিনি রাসূল (সা.)-কে ‘নিশ্চিত জ্ঞানের অধিকারী কারা’ সে সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ‘যাদের হাত ন্যায় ও কল্যাণ কর্মে সর্বাধিক তৎপর এবং কখনও জুলুম করেনি, জিহ্বা সত্যভাষী, হৃদয় সরল এবং উদর ও গোপনাঙ্গ জন্ম থেকেই হারাম হতে সুরক্ষিত।’ এটা সুস্পষ্ট যে, এসব বৈশিষ্ট্য রাসূল (সা.) এবং পবিত্র ইমামগণ ব্যতীত অন্য কারও মধ্যে পাওয়া যায়নি। কেননা, তাঁরা ছাড়া এ উম্মতের মধ্যে এমন কেউ নেই জন্ম থেকে যার হাত কল্যাণ ছাড়া জুলুম, জিহ্বা সত্য ছাড়া মিথ্যা, হৃদয় সরল ছাড়া বক্র, উদর ও গোপনাঙ্গ হালাল ছাড়া হারাম গ্রহণ করেনি। (তাফসীরে দুররে মানসুর, ২য় খণ্ড, পৃ. ৭, মিশর মুদ্রণ দ্রষ্টব্য)

captcha