
আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত ‘ইসলামোফোবিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই’বিষয়ক তৃতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। তুরস্কভিত্তিক আনাদোলু এজেন্সির মিডিয়া অংশীদারিতে আয়োজিত এ সম্মেলনে মোরাটিনোস বলেন, ‘মুসলমানরা আজও প্রাতিষ্ঠানিক বৈষম্য এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক নানা প্রতিবন্ধকতার শিকার। তাদের বিরুদ্ধে কুসংস্কার প্রায়ই অযৌক্তিক জাতিগত প্রোফাইলিংয়ের মাধ্যমে প্রকাশ পায়, যা বিকৃত মিডিয়া চিত্রায়ণ এবং কিছু রাজনৈতিক নেতার বাগ্মিতা ও নীতির মাধ্যমে উৎসাহিত হয়।
তিনি ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার ধংসাত্মক প্রভাব সম্পর্কে সতর্ক করে বলেন, ‘যখন কোনো নির্দিষ্ট ধর্মের মানুষদের বিরুদ্ধে ঘৃণা উসকে দেওয়া হয়, তখন তা সমাজে বিভাজন সৃষ্টি করে। এর ফলে অন্যান্য ধর্মের প্রতি শত্রুতা, ভয় ও অবিশ্বাস বেড়ে যায়, যা সামাজিক শান্তি ও সম্প্রীতির পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়।’ বিশেষ দূত হিসেবে মুসলিম সম্প্রদায়ের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মোরাটিনোস বলেন, ‘ঘৃণা ও সহিংসতার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে জাতিসংঘ অঙ্গীকারবদ্ধ। আমি পারস্পরিক বোঝাপড়া, সহনশীলতা ও আন্তর্ধর্মীয় শ্রদ্ধার সংস্কৃতি গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, ইসলামোফোবিয়া শুধু মুসলমানদের সমস্যা নয়, বরং এটি বৈশ্বিক মানবাধিকারের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। উল্লেখ্য, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ২০২২ সালে প্রতিবছর ১৫ মার্চকে ‘ইসলামোফোবিয়া মোকাবেলার আন্তর্জাতিক দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে। এ ছাড়া ২০২৪ সালে জাতিসংঘে গৃহীত একটি প্রস্তাবে ইসলামোফোবিয়া মোকাবেলায় একজন বিশেষ দূত নিয়োগের আহবান জানানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতেই মোরাটিনোসকে এ পদে নিযুক্ত করা হয়।
সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি