বার্তা সংস্থা ইকনা: এই পদযাত্রা আরবাইনের দিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। তবে ইমাম হুসাইন (আ.)এর পদযাত্রায় বাধা দেওয়ার জন্য ইসলামের শত্রুরা বিভিন্ন ধরণের ষড়যন্ত্র চালিয়ে আসছে। আর তারই সূত্র ধরে বাগদাদে দুই আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীর এই পদযাত্রার বাধা হয়ে দাড়াতে চেয়েছিল। কিন্তু তাদের পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়।
গত ২৯শে নভেম্বর ইরাকের সামরিক বাহিনী বাগদাদে দুই আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীর পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। ইমাম হুসাইন (আ.)এর চেহলুম উপলক্ষে কারবালার উদ্দেশ্য পায়ে হেটে যাওয়া যায়েরদের ওপর হামলা চালিয়ে তাদেরকে হত্যা করার পরিকল্পনা করেছিল এই দুই সন্ত্রাসী। তবে ঘটনাস্থলে উপস্থিত নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের বিচক্ষণতায় আত্মঘাতীর পরিকল্পনা ভেস্তে যায়।
বাগদাদ অপারেশনস কমান্ডের মুখপাত্র সায়িদ মুয়িন ঘোষণা করেন: ইরাকি ফেডারেল পুলিশ চতুর্থ কর্পস, বাগদাদের পশ্চিমাঞ্চলে ‘আল জিহাদ’ নামক অঞ্চলে ‘মুহাম্মাদ রাসুলুল্লহ (সা.)’ জামে মসজিদের নিকট ইনফরমেশন ডিভাইসের মাধ্যমে এক সন্ত্রাসীকে চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়। এই সন্ত্রাসী এক্সপ্লোসিভ বেল্ট বিস্ফোরণের মাধ্যমে বিপুল সংখ্যক যায়েরকে হত্যা করতে চেয়েছিল। কিন্তু তার এই অপচেষ্টা ব্যর্থ হয় এবং সামরিক বাহিনীর গুলিতে এ সন্ত্রাসী নিহত হয়।
তিনি আরও বলেন: বাগদাদের দক্ষিণাঞ্চলে ‘কুরইশ’ নামক অঞ্চলে অপর এক সন্ত্রাসী এক্সপ্লোসিভ বেল্ট পরে যায়েরদের ওপর হামরা চালানোর চেষ্টা চালালে তাকে গুলি করে হত্যা করে সামরিক বাহিনীর সদস্যরা।
প্রতি বছরই আরবাইনের সময় ইরাকের আহলে বাইত (আ.) প্রেমী জনতারা কারবালার উদ্দেশ্য পদযাত্রা শুরু করে এবং এসময় তাকফিরি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী নাশকতা সৃষ্টি করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে থাকে এবং যায়েরদের ওপর হামলা চালায়। কিন্তু এই সন্ত্রাসীদের হামলা আশঙ্কা থাকা সত্ত্বেও ইমাম হুসাইন (আ.)এর চেহলুম উপলক্ষে এই পদযাত্রায় যায়েরদের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে।
3458438