কেন ইউরোপীয়দের কোভিট-১৯ ভ্যাকসিন গ্রহণে অনীহা?
তেহরান (ইকনা): DW এর ১৭-১১-২০২১ এর প্রতিবেদন । ৮০%-এরউপর জনগণকে ভ্যাক্সিনেশন ( টিকা করণ ) করার পর ইউরোপ এখন আবারও কোভিড - ১৯ এর এপিসেন্টারে ( কেন্দ্রবিন্দুতে ) পরিণত হয়েছে ?
যেহেতু বিভিন্ন ইউরোপীয় দেশ করোনা ভাইরাস কেসসমূহের ক্ষেত্রে একটা নাটকীয় ঢেউ প্রত্যক্ষ করছে সেহেতু ইউরোপে লকডাউন , কড়াকড়ি ও সীমাবদ্ধতা আরোপ ( রেস্ট্রিকশন ) এবং উত্তরোত্তর বর্ধমান দুশ্চিন্তা রয়েছে ।
টিকা গ্রহণের ব্যাপারে অনীহা , বিশেষ করে একটি কন্টাজিয়াস ভ্যারিয়েন্ট ( সংক্রামক স্ট্রেন ) এর ক্ষেত্রে এবং কমে আসা ( ক্ষীয়মান ) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যা এমনকি দুই ডোয্ টিকা নেওয়ার পর সৃষ্টি হয়েছিল , হয়তো করোনা মহামারীর ঢেউ-এর ( সার্জ ) বেশ কিছু কারণ হতে পারে !!
কেন দুই ডোয টিকা নেওয়ার পর দীর্ঘ মেয়াদী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি তো হয়নি বরং তা দ্রুত কমে যাচ্ছে কেন ? তাই টিকা নেওয়ার ব্যাপারে অনেকের মধ্যে অনীহার কথা বলা হচ্ছে তা কি এ কারণে যে দুই ডোয্ টিকাও দীর্ঘ মেয়াদী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সৃষ্টি করতে পারে নি ?! জনগণের আর এ কারণে কি টিকার ব্যাপারে ভরসা করতে পারছে না ?
তারা হয়তো বুঝতে পারছে যে ৩ , ৪ , ৫ ,৬ মাস অন্তর অন্তর ঘন ঘন টিকা নেওয়ার সম্ভাব্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ভয়ঙ্কর হতে পারে । অথচ টিকা নির্মাতা ওষুধ কোম্পানি , স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও সংস্থা এবং চিকিৎসকরা করোনা ভাইরাসের টিকার সম্ভাব্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াসমূহ সম্পর্কে কিছুই বলছেন না ও জানাচ্ছেন না !
দেশসমূহের সরকারসমূহ টিকা করণকে এক রকম কার্যত: বাধ্যতামূলক করেই ফেলেছেন বা করার দিকেই যাচ্ছেন ( যদিও সরকার সমূহ টিকার অজানা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার চিকিৎসা , প্রতিকার এমনকি স্থায়ী ক্ষতি বা মৃত্যু হলে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন না ) । আর এ সব বিষয় টিকা করণের প্রতি ইউরোপীয়দের অনেকেরই অনীহার কারণ যা DW ( ডয়েচে ভেলে : জার্মান বার্তা সংস্থা) এই রিপোর্টে উল্লেখ করে নি ।
ইসলামী চিন্তাবিদ এবং গবেষক হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলেমিন মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান
১৯-১১- ২০২১ ( ২৯ - ৮ - ১৪০০ )
