IQNA

ইসলামি রাজনীতিতে প্রতারণার কোনো পথ নেই

0:02 - September 01, 2022
সংবাদ: 3472385
তেহরান (ইকনা): ইসলামে রাজনীতি মানে ধূর্ততা ও প্রতারণা নয়, বরং নৈতিক মান এবং শালীন আচরণের প্রতি মনোযোগ দেওয় ইসলামে রাজনীতির প্রধান উপাদান হিসেবে বিবেচিত হয়।
আল-মোস্তাফা আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ডিপার্টমেন্টের প্রধান এবং প্রভাষক হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন ড. নাসের রাফিয়ী সম্প্রতি তাফসিরে কুরআন অধিবেশনে ইসলামী রাজনীতি সম্পর্কে কিছু পয়েন্ট ব্যক্ত করেছেন যা নীচে  তুলে ধলা হল: ইসলামে রাজনীতির ধারণা পশ্চিমা বিশ্বের রাজনৈতিক সিস্টেম থেকে একেবারেই ভিন্ন; ائمه ساسة العباد অর্থাৎ বান্দাদের তত্ত্বাবধায়ক এবং এর মানে রাজনীতি বিয়োগ ধর্ম নয়। যেই ধর্মের মধ্যে রাজনীতি নেই সেই ধর্ম, ধর্ম নয়। যেমন ইমাম খোমেনী (রহ.) বলেছেন, কেউ যদি ধর্মকে রাজনীতি থেকে আলাদা করে, সে ধর্মকে সঠিকভাবে বোঝে না এবং রাজনীতিও সঠিকভাবে বোঝে না।
সকল ইমামকে শহীদ করা হয়েছে, কারণ তারা রাজনীতি করেছেন। তাদের সমসময়ে অত্যাচারী শাসকদের সাথে তাদের বিরোধ ছিল এবং এটিই ইমামদের রাজনৈতিক হওয়ার সর্বোত্তম কারণ। অন্যথায়, তারা যদি শুধুমাত্র ইবাদতের মধ্যে ব্যস্ত থাকতেন এবং শাসকদের সাথে তাদের যদি কোন বিরোধ না থাকতো, তাহলে তারা নির্যাতিত হতেন না এবং শেষ পর্যন্ত শহীদও হতেন না।
মানুষের অধিকারকে সম্মান করা একজন মুমিনের আরেকটি বৈশিষ্ট্য। এটা আমাদের মোটেও ভাবা উচিত নয় যে, আমরা আমাদের দায়িত্বসমূহ অবহেলা করবো এবং এর মাধ্যমে আমরা রাজনীতিবিদ হবো। বরং রাজনীতিবিদ পুরো এর উল্টো। যদি কেউ তার দায়িত্বসমূহ অবহেলা করে, তাহলে তিনি হচ্ছে ঠিক সেই ওজনে কম বিক্রি করা বিক্রেতার মতো। অর্থাৎ এক কেজির সমপরিমাণ অর্থ নিয়ে ৮০০ গ্রাম পণ্য ক্রেতাকে প্রদান করা। যে ব্যক্তি জনগণের কাঁধ থেকে বোঝা তুলে নেয়, তার বর্ণনায় বর্ণিত হয়েছে যে, তার জন্য ৯ হাজার বছরের ইবাদতের সওয়াব লিপিবদ্ধ করা হয়।
আমাদের উচিত ইমামদের জীবনকে একটি পদ্ধতি হিসাবে পর্যবেক্ষণ করা। রাজনৈতিক স্বার্থে ইমামদের জীবনের শুধুমাত্র একটি অংশ তুলে ধরা ঠিক নয়।
ন্যায়পরায়ণ শাসকের আনুগত্য একজন রাজনৈতিক ব্যক্তির অন্যতম বৈশিষ্ট্য। এখানে ইমাম মাসুম (আ.)-এর বর্ণনার উপর ভিত্তি করে, ওয়ালীয়ে আমরে আদেল শুধুমাত্র একজন মাসুম নয়।
একজন রাজনৈতিক মানুষের তৃতীয় বৈশিষ্ট্য হল মৃতের অধিকারকে সম্মান করা। আমাদের উচিত নয় মৃত ব্যক্তিদের অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে তাদেরকে অপমান করা এবং তাদের ব্যাপারে উল্টা পাল্টা কথা বলা, তবে আমাদের উচিত তাদের ক্ষমা করা এবং তাদের জন্য ক্ষমা চাওয়া। শিমার এবং ইয়াজিদের মতো লোকদের ছাড়া, এই ধরণের অত্যাচারীদের প্রতিনিয়ত অভিশপ্ত হওয়া উচিত।
 
 
captcha