IQNA

করুণাময় আল্লাহকে ভয় করার অর্থ

0:04 - September 10, 2022
সংবাদ: 3472434
তেহরান (ইকনা): ভয় একটি অভ্যন্তরীণ ধারণা এবং এটি ঘটে যখন আমরা একটি বিপজ্জনক বা ভীতিকর ব্যক্তি বা পরিস্থিতির মুখোমুখি হই। তবে ধর্মীয় ক্ষেত্রে যে বলা হয়েছে “আল্লাহকে ভয় কর” এটার অর্থ কি? তাও এমন পরিস্থিতিতে যে আল্লাহকে দয়াময় ও ক্ষমাশীল বলে বর্ণনা করা হয়েছে।

ভয় একটি অভ্যন্তরীণ ধারণা এবং এটি ঘটে যখন আমরা একটি বিপজ্জনক বা ভীতিকর ব্যক্তি বা পরিস্থিতির মুখোমুখি হই। তবে ধর্মীয় ক্ষেত্রে যে বলা হয়েছে “আল্লাহকে ভয় কর” এটার অর্থ কি? তাও এমন পরিস্থিতিতে যে আল্লাহকে দয়াময় ও ক্ষমাশীল বলে বর্ণনা করা হয়েছে।
সূরা নাযি’আতের ৪০ নং আয়াতে বলা হয়েছে:


وَأَمَّا مَنْ خَافَ مَقَامَ رَبِّهِ وَ نَهَى النَّفْسَ عَنِ الْهَوَى


পক্ষান্তরে যে স্বীয় প্রতিপালকের মর্যাদাকে ভয় করেছিল এবং প্রবৃত্তির কামনা হতে নিজেকে বিরত রেখেছিল।
আর যে ব্যক্তি তার পালনকর্তার সামনে দাঁড়াতে ভয় পেল এবং নিজের আত্মাকে লালসা থেকে বিরত রাখল। এই আয়াত অনুসারে জান্নাতে পৌঁছানোর শর্ত হল "আল্লাহকে ভয় করা"। যে ব্যক্তি তার প্রতিপালকের অবস্থানকে ভয় করে, সে তার আত্মার ইচ্ছার অনুসরণ করে না।
আল্লাহর ভয় অর্জিত হয় যখন একজন ব্যক্তি আল্লাহর মহত্ত্বে পৌঁছায় এবং সেই মহত্ত্ব সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করে। এই জ্ঞান বিস্ময় এবং ভয় নিয়ে আসে। পণ্ডিত এবং জ্ঞানীদের আল্লাহ সম্পর্কে যে ভয় রয়েছে তা এমন একটি ভয় যা তাদের আল্লাহর জ্ঞান থেকে আসে। যেমন: তূর পাহাড়ে হযরত মূসা (আঃ)-এর সাথে যে ভয়ের ঘটনা ঘটেছিল।


وَلَمَّا جَاءَ مُوسَى لِمِيقَاتِنَا وَكَلَّمَهُ رَبُّهُ قَالَ رَبِّ أَرِنِي أَنْظُرْ إِلَيْكَ قَالَ لَنْ تَرَانِي وَلَكِنِ انْظُرْ إِلَى الْجَبَلِ فَإِنِ اسْتَقَرَّ مَكَانَهُ فَسَوْفَ تَرَانِي فَلَمَّا تَجَلَّى رَبُّهُ لِلْجَبَلِ جَعَلَهُ دَكًّا وَخَرَّ مُوسَى صَعِقًا فَلَمَّا أَفَاقَ قَالَ سُبْحَانَكَ تُبْتُ إِلَيْكَ وَأَنَا أَوَّلُ الْمُؤْمِنِينَ


এবং যখন মূসা আমাদের প্রতিশ্রুত স্থানে (তূর পাহাড়ে) এল এবং তার প্রতিপালক তার সঙ্গে বাক্যালাপ করলেন তখন সে (মূসা) বলল, ‘হে প্রতিপালক! তুমি আমাকে দর্শন দাও যেন আমি তোমার দিকে তাকাতে পারি।’ তিনি (আল্লাহ) বললেন, ‘তুমি আমাকে কখনই দেখতে পাবে না। তবে তুমি ঐ পাহাড়ের দিকে দৃষ্টি দাও; যদি তা স্ব-স্থানে অবিচল থাকে তবে তুমি আমাকে দেখতে পাবে।’ অতঃপর তার প্রতিপালক যখন পাহাড়ে স্বীয় দীপ্তির প্রকাশ ঘটিয়ে তা চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দিলেন এবং মূসা সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ে গেল, অতঃপর যখন সে সংজ্ঞা ফিরে পেল তখন বলল, ‘(হে আল্লাহ!) তুমি সকল (ত্রুটি থেকে) পবিত্র, আমি তোমার দিকে প্রত্যাবর্তন করছি এবং (তুমি দৃশ্যমান না হওয়ার বিষয়ে) আমি বিশ্বাসীদের মধ্যে প্রথম।’
সূরা আ’রাফ, আয়াত: ১৪৩।
মহান আল্লাহ সম্পর্কে সঠিক জ্ঞানের অর্থ হলে, যে ব্যক্তি এই জ্ঞানের অধিকারী হবেন, তিনি সর্বদা মহান আল্লাহকে নিজের নাজির হিসেবে বিবেচনা করবেন। এই ধরনের পরিস্থিতি মানুষের মধ্যে বিনয় সৃষ্টি করে। রহস্যবাদীরা বিশ্বাস করেন যে আল্লাহর উপস্থিতির কারণে একজন ব্যক্তিকে যে বিনয় ও লজ্জার অনুভূতি স্পর্শ করে তা হল তাকওয়ার সঠিক অর্থ। যাইহোক, এই অর্থ সবার কাছে পরিষ্কার নয়।
অধ্যাপক সৈয়দ মোস্তফা মোহাক্বেক দামাদের বক্তৃতা থেক সংগৃহীত

captcha