পাশ্চাত্য সংস্কৃতি বর্জন অনিবার্য

তেহরান (ইকনা): থাইল্যান্ড যেহেতু পাশ্চাত্য সভ্যতা দিয়ে তীব্র প্রভাবিত সেহেতু পাশ্চাত্যে যে সব তীব্র মানসিক রোগের সিন্ড্রোম আছে যেমন বিনা কারণে গুলি করে সাধারণ মানুষকে হত্যা করে হত্যা কারী নিজেও আত্মহত্যা করে এ ধরণের সিন্ড্রোম থাইল্যান্ডেও শুরু হয়েছে। আর এ ধরণের ঘটনা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অহরহ এবং পশ্চিমা দেশগুলোয় অনেক ঘটে থাকে।

পাশ্চাত্য ( পশ্চিমা ) বস্তুবাদী সভ্যতা যে সব দেশে বিস্তার লাভ করছে সে সব দেশে পাশ্চাত্যের বিকারগ্রস্ত বিকৃত মানসিক রোগ ও ব্যাধির সিন্ড্রোমসমূহও বিস্তৃত হচ্ছে ও হতে থাকবে। পাশ্চাত্যের শিক্ষা ব্যবস্থা , তরবিয়ত ( প্রশিক্ষণ) , সংস্কৃতি লাইফ স্টাইল ইত্যাদি হচ্ছে এ সব জটিল কুটিল ধরণের মানসিক ব্যাধির সিন্ড্রোম তৈরি করে যা নিয়ে আমরা মোটেও ভাবি না বরং পাশ্চাত্য আমাদের শিক্ষা প্রশিক্ষণ ( তালীম ও তরবিয়ত ) সংস্কৃতি , প্রযুক্তি ও লাইফ স্টাইল ( জীবনধারা ) ও আধুনিকতার নামে যে সব ছাইপাশ শিখাচ্ছে ও গিলাচ্ছে আমরা তাই শিখছি ও গিলছি ।
আর আমাদের দেশগুলোর এলিট শ্রেণী , শাসকগোষ্ঠী , বুদ্ধিজীবীরা (আঁতেল বুদ্ধুজীবী গং বলাই শ্রেয় ) ও মিডিয়া পাশ্চাত্যের এই ছাইপাশ দেশে দেশে প্রসার ঘটাচ্ছে সরকারী , রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক পৃষ্ঠপোষকতায় !!!
বাংলাদেশে অনেকেই যারা পাশ্চাত্য শিক্ষিত তারা মনে করে যে পাশ্চাত্যে মানুষের খুব ভালো যত্ন নেওয়া হয় অর্থাৎ সেখানে জনগণের মানসিক বিকাশের সুষ্ঠু ব্যবস্থা আছে পাশ্চাত্যের সেই সব পাচাটাদের উদ্দেশ্যে বলতে হয় যে এ কেমন মানসিক বিকাশ হয়েছে পাশ্চাত্যে এবং পাশ্চাত্য সভ্যতা ও কৃষ্টি যে সব দেশে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করেছে সে সব দেশে যে বিনা কারণে নিরীহ মানুষ এমনকি শিশুরাও ( থাইল্যান্ডের সাম্প্রতিক ঘটনা ) এ ভাবে গণ হত্যার শিকার হচ্ছে ?!!! পাশ্চাত্যের বাসিন্দাদের এক উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ( বিরাট ) অংশই হচ্ছে অটিযম, স্যাডিযম, চরম ব্যক্তি কেন্দ্রিকতা ( فردگرایی افراطی) , সমাজের বিরুদ্ধে লড়া (جامعہ ستیزی) , চরম স্বার্থবাদিতা , ক্যারিয়ারিযম ( ক্যারিয়ারিয্ম এতটা চরমে পৌঁছেছে যে একটু ঊন্নিশ বিশ হলে এবং ঠিক মতো ক্যারিয়ার গড়তে না পারলে পাশ্চাত্যে ব্যস অনেকের মাথা খারাপ হয়ে যায় এবং তারা এ ধরণের হত্যাকাণ্ড ও অপরাধ ঘটিয়ে থাকে ) ইত্যাদির মতো তীব্র মানসিক ব্যাধি ও রোগ সিন্ড্রোমে আক্রান্ত এবং সেই সাথে তীব্র যৌন বিকৃতি ও হাইপার সেক্সুয়ালিটি সিন্ড্রোম ( Hyper sexuality ) তো আছেই যা থাইল্যান্ডের মতো বিভিন্ন দেশে বিস্তার লাভ করেছে বা করছে। আর পাশ্চাত্য বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অধুনা থাইল্যান্ডের মতো দেশগুলোকে যৌন বিকৃতি গ্রস্ত এবং হাইপার সেক্সুয়াল সমাজ ও রাষ্ট্র বললে অত্যুক্তি হবে না।
হাইপারসেক্সুয়ালিটি (ইংরেজি: Hypersexuality) হল অতিমাত্রার বারংবার যৌন আকাঙ্ক্ষার বৃদ্ধি এবং তা পূরণে যৌন কর্মকান্ড করা । আর পশ্চিমা দেশ ও সমাজগুলো এবং থাইল্যান্ডের মতো দেশগুলো তো ঠিক এমন বিকৃত যৌনতায়ই আক্রান্ত।
দু:খজনকভাবে এ সব অসভ্য কুসভ্য হারামজাদা দেশ ও সমাজ হয়েছে আজকাল আমাদের রোল মডেল !!!

ইসলামী চিন্তাবিদ এবং গবেষক হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান