ইমাম খোমেনী (রহ.); শতাব্দীর সেরা মানুষ এবং আজকের বিশ্বে মহান ইসলামী ঐতিহ্যের পুনরুজ্জীবনকারী
ইকনা: ইমাম খোমেনী (রহ.) পৃথিবীতে আজ পশ্চিমা সভ্যতার প্রাধান্য থাকা সত্ত্বেও, তিনি ছিলেন শতাব্দীর সেরা মানুষ এবং আজকের বিশ্বে মহান ইসলামী ঐতিহ্যের পুনরুজ্জীবনকারী এবং চিন্তাবিদদের ব্যাখ্যা অনুসারে, তিনি হয়ে ওঠেন আধ্যাত্মিকতার আশ্রয়দাতা এবং বর্তমান যুগে আত্মাহীন বিশ্বের জন্য একটি নতুন চেতনা।
ইরানের ইসলামি বিপ্লবের প্রতিষ্ঠাতা ইমাম খোমেনীর দৃষ্টিকোণ থেকে সমাজের দরিদ্র শ্রেণীর অধিকারের প্রতি মনোযোগ দেয়াই হলো আল্লাহর অধিকারের প্রতি মনোযোগ দেয়া। ইমাম বলেন, ইসলাম বলেছে গরীবদের দিকে তাকাতে হবে।
ইমাম খোমেনীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই সংক্ষিপ্ত প্রবন্ধে আমরা ইমাম খোমেনীর চিন্তাধারায় অনগ্রসরদের প্রতি ন্যায়বিচারের গুরুত্ব এবং এ বিষয়ে পাঠকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
ইমাম খোমেনীর বাণী এবং বক্তব্যগুলো দেখায় যে তার ন্যায়বিচারের দৃষ্টিভঙ্গি ইসলামের নবীর উত্তরাধিকারী এবং আহলে বাইতের প্রথম ইমাম আলী (আ.)'র অনুরূপ।
ইমাম আলী (আ.)-এর দৃষ্টিভঙ্গি হলো সাম্যবাদ ও যোগ্যতার সমন্বয়। তারা সমাজের জন্য মৌলিকত্বকে মূল্য দেয় কিন্তু অন্যদিকে তারা বিশ্বাস করে যে একজনের প্রচেষ্টা অন্যের জন্য দায়ী করা উচিত নয়।
আমরা যখন ইমাম খোমেনী (রহ.)-এর দৃষ্টিভঙ্গিকে পুঁজিবাদী ও সাম্প্রদায়িক ব্যবস্থার সাথে তুলনা করি, তখন এটা নিশ্চিত যে ইমাম খোমেনী পুঁজিবাদী ব্যবস্থাকে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন এবং দুটি কারণে সমাজতান্ত্রিক নীতির বিরুদ্ধে ছিলেন। প্রথমত, এটি রাষ্ট্রীয় পুঁজিবাদে পরিণত হয়েছিল এবং দ্বিতীয়ত এটি ব্যক্তিগত সম্পত্তির অধিকারের বিরুদ্ধে ছিল। ইমাম খোমেনীর পুঁজিবাদী ব্যবস্থার বিরোধিতা ব্যক্তিগত সম্পত্তির ধারণার জন্য নয় বরং পুঁজির মৌলিকতার কারণে যা সবকিছুকে প্রাধান্য দেয়।
বঞ্চিতদের প্রতি ইমাম খোমেনী (রহ.) এর দৃষ্টিভঙ্গি শুধু রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি নয় বরং আরও মৌলিক দৃষ্টিভঙ্গি। তার দৃষ্টিভঙ্গি ছিল ধর্মীয়। ইমাম খোমেনীর দৃষ্টিতে দরিদ্র শ্রেণীর অধিকারের প্রতি মনোযোগ দেওয়ার অর্থ হলো আল্লাহর অধিকারের প্রতি মনোযোগ দেওয়া। ইমাম বলেন, ইসলাম বলেছে গরীবদের দিকে তাকাতে হবে। নির্মাণ হতে হবে সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য। ইসলামের ইমামের মতে এর শুরু হয়েছিল বঞ্চিতদের দিয়ে।
ইমাম খোমেনী (রহ.) বলেন, বিভিন্ন শ্রেণী যেন দুর্বল শ্রেনীর উপর অত্যাচার না করে এবং গরীব-দুঃখীদের অধিকার দিতে হবে। ইমাম খোমেনীর দৃষ্টিতে ইসলামি প্রজাতন্ত্রে জাতিকে ন্যায়ের পথে থাকতে হবে এবং তাদেরকে বঞ্চিতদের নিপীড়নের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো হবে।
ইমাম খোমেনী (রহ.) বলেন, বঞ্চনা দূর করা আমাদের প্রধান নীতি। ইমামের দৃষ্টিতে কেউ যদি সত্যিই মার্কিন নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াই করতে চায় তবে তাকে দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য কাজ করা উচিত।
