ফিলিস্তিনের শহীদ সাংবাদিক "আসলিহ"এর মরদেহ দাফন করা হয়েছে + ভিডিও
ইকনা- ৭ এপ্রিল খান ইউনিসে সাংবাদিকদের তাঁবুতে নৃশংস বোমা হামলার সময় গুরুতর আহত বিশিষ্ট ফিলিস্তিনি সাংবাদিক হাসান আসলিহ আজ সকালে নাসের হাসপাতালের বার্ন ওয়ার্ডে শহীদ হয়েছেন।
আজ ১৩ মে সকালে ফিলিস্তিনি গণমাধ্যম গাজা উপত্যকায় আরও একজন সাংবাদিকের শহীদ হওয়ার খবর জানিয়েছে। ফিলিস্তিনি গণমাধ্যম ঘোষণা করেছে যে গাজার বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী সরকারের গণহত্যা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় শহীদ সাংবাদিকের সংখ্যা বেড়ে ২১৫ জনে দাঁড়িয়েছে।
এই প্রতিবেদন অনুসারে, ৭ এপ্রিল খান ইউনিসে সাংবাদিকদের তাঁবুতে নৃশংস বোমা হামলার সময় গুরুতর আহত ফিলিস্তিনি সাংবাদিক হাসান আসলিহ নাসের হাসপাতালের বার্ন ওয়ার্ডে শহীদ হন।
আসলিহ, যিনি প্রতিদিন গাজা উপত্যকার অনেক ঘটনা অনুসরণ করতেন, তিনি একজন ফিলিস্তিনি সাংবাদিক এবং আলোকচিত্রের একজন উৎসাহী ছিলেন। ২০০৯ সাল থেকে তার নাম সবার মুখে মুখে, যখন তিনি স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক ঘটনাবলী এবং সংবাদ প্রতিফলিত করার জন্য আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন।
মাঠে তার সক্রিয় উপস্থিতির পাশাপাশি, তিনি সোশ্যাল মিডিয়াতেও খুব সক্রিয় ছিলেন। তার ইনস্টাগ্রাম পেজ এবং এক্স হাসান আসলিহ-এর দিকে একবার নজর দিন, যার প্রায় অর্ধ মিলিয়ন ফলোয়ার রয়েছে, যাদের বেশিরভাগই গাজা উপত্যকার বাসিন্দা। একটি পেজ যা ফিলিস্তিনের ঘটনাবলী এবং গাজা যুদ্ধের ছবি এবং ঘটনাবলী প্রকাশ করে, তার পেজে ভিজিটর উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছিল।
হাসান আসলিহকে ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠী লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছিল এবং শাসকগোষ্ঠীর নেতারা এই উচ্চকণ্ঠকে নীরব করার চেষ্টা করেছিল। অন্যান্য সাংবাদিক এবং গণমাধ্যমের সাথেও তারা একই কাজ করেছে। তারা এই প্রতিবেদকের হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারের সাথে ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়া এবং ইহুদিবাদী মিডিয়াতে ব্যাপকভাবে পুনরায় পোস্ট করেছিল।
তিনি মনে করেন যে তাকে হত্যার লক্ষ্যবস্তু করা হতে পারে, তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেছেন এবং জোর দিয়ে বলেছেন যে "গাজা উপত্যকায় কর্মরত প্রেস গ্রুপ এবং স্থানীয় সংবাদ সংস্থাগুলিকে লক্ষ্যবস্তু করা থেকে সাবধান থাকুন।" 4282193#
