ইহুদিবাদী বর্বরতা অতি মাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে

ইকনা- গাজায় রক্তপাত, ইসরায়েলি শাসকগোষ্ঠীর বিভিন্ন নৃশংস অপরাধ সংঘটন এবং আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের নিষ্ক্রিয়তার জন্য গভীর দুঃখ প্রকাশ করে আল-কাবি জোর দিয়ে বলেন যে এই দৃশ্যগুলি ধৈর্য্যের চুড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।

নুজাবা ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলনের মহাসচিব শেখ আকরাম আল-কাবি, ইহুদিবাদী সেনাবাহিনীর জল্লাদদের দ্বারা গাজার জনগণের উপর অব্যাহত হত্যাকাণ্ড এবং বিশ্বজুড়ে সরকারগুলির মারাত্মক নীরবতার প্রতিবাদে নিম্নলিখিত বার্তা পেশ করেছেন:
"যখন আমরা দেখি যে, ট্রাম্প ও নেতানিয়াহুর মতো অপরাধীদের নেতৃত্বে পরিচালিত এই পৃথিবীতে অত্যাচারীরা কীভাবে দুর্নীতি, ধ্বংস এবং সন্ত্রাস সৃষ্টি করেছে, তখন আমরা বুঝতে পারি যে, সর্বশক্তিমান আল্লাহর দৃষ্টিতে এই পৃথিবী কতটা ঘৃণ্য এবং মূল্যহীন, এবং কেন আহলে বাইত (আ.) এবং তাদের পরবর্তী সৎকর্মপরায়ণ ব্যক্তিরা জালিমদের সাথে জীবনযাপনের চেয়ে মৃত্যুকে বেশি পছন্দ করেছিলেন।"
এই অপরাধের মুখে বেশিরভাগ শাসকের মারাত্মক নীরবতা যারা দেখেন, তারা নিশ্চিত যে শিশু-হত্যাকারী অপরাধীদের বেপরোয়াতার ছায়ায় তারা অপমান ও অসম্মানের মধ্যে পড়েছে।
এই নিষ্ঠুরতা, রক্তপাত, চরমপন্থা, ঘৃণা, সহিংসতা এবং অপরাধ যা ছোট বাচ্চাদের বা তাদের মায়েদের প্রতি কোন করুণা দেখায় না, বয়স্কদের প্রতি কোন শ্রদ্ধা দেখায় না, প্রতিবন্ধীদের প্রতি কোন সহানুভূতি দেখায় না, গাছের সংরক্ষণ করে না, কোন হাসপাতাল দেয় না... অপরাধীদের এই বর্বর স্বভাবের কারণে তারা সমস্ত মানুষকে শুদ্ধিকরণ এবং গণহত্যার লক্ষ্যবস্তু হিসেবে দেখে, যা ইতিহাসের সবচেয়ে নিষ্ঠুর অপরাধীরাও করেনি।  যদিও বিশ্ব, নিরাশ এবং উদাসীন, এই বিপর্যয়ের দর্শক, এবং আমেরিকা ও পশ্চিমাদের প্রকাশ্য এবং অপ্রকাশ্য সমর্থনের সাথে, শিশুদের রক্ত ​​নদীর মতো প্রবাহিত হয়েছে, যেন তাদের চোখ এটি দেখতে চায় না।
এই সমস্ত অপরাধের পাশাপাশি, বেসামরিক নাগরিকদের অনাহারে রাখা এবং এমনকি তাদের সবচেয়ে মৌলিক চিকিৎসা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত করার জন্য একটি সম্পূর্ণ অবরোধ রয়েছে, যার লক্ষ্য তাদের সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করা এবং তাদের জমি দখল করা। যখন সকল মানবাধিকার, আন্তর্জাতিক আইন এবং ঐশ্বরিক ধর্ম লঙ্ঘিত হচ্ছে।
এখন আমাদের ধৈর্যের শেষ, একমাত্র মহান আল্লাহ ব্যাতীত কারো নিহত হতে সাহায্যের আর কোন আশা নেই। 4287039#