
জুমেইরাহ মসজিদটি ফাতেমি, মামলুকসহ বিভিন্ন ঐতিহাসিক ইসলামিক স্থাপত্যশৈলীর সংমিশ্রণে নির্মিত হয়েছে। এর স্থাপত্যশৈলী সিরিয়া ও মিসর থেকে উদ্ভূত হয়েছে বলে জানা যায়। মসজিদটি হলুদ-গোলাপি বেলে পাথর দিয়ে তৈরি। দুটি মিনার এবং একটি গম্বুজ গভীর কারুকার্যময় নকশা দ্বারা সজ্জিত, যা মিসরীয় মামলুক স্থাপত্যের বৈশিষ্ট্য।
মুসলিমদের জন্য নির্ধারিত প্রবেশপথে সুরা আত-তাওবাহ থেকে কোরআনের শিলালিপি আছে। মসজিদের অভ্যন্তরীণ অংশে কেন্দ্রীয় গম্বুজের চারপাশে হাইপোস্টাইল নকশায় স্তম্ভগুলো বিন্যস্ত করা হয়েছে। মেঝে একটি বড় ফুলের নকশার কার্পেট দিয়ে ঢাকা।
জুমেইরাহ মসজিদ শেখ মোহাম্মদ সেন্টার ফর কালচারাল আন্ডারস্ট্যান্ডিং (SMCCU) দ্বারা পরিচালিত হয়।
এই কেন্দ্রটির লক্ষ্য হলো বিভিন্ন জাতিসত্তা ও সংস্কৃতির মানুষের মধ্যে সাংস্কৃতিক সচেতনতা, বোঝাপড়া এবং সহনশীলতা তৈরি করতে ইন্টার্যাক্টিভ প্রোগ্রাম তৈরি করা।
মসজিদটিতে অমুসলিম দর্শনার্থীদের প্রবেশের সুযোগ আছে, যাতে ইসলাম ও আরব সংস্কৃতি সম্পর্কে তারাও ধারণা লাভ করতে পারে। তবে দর্শনার্থীদের মসজিদের প্রচলিত পোশাকের নিয়মাবলি মেনে চলতে হয়। প্রাপ্তবয়স্কদের মার্জিত পোশাক পরতে হয় এবং মহিলাদের স্কার্ফ পরতে হয়। নামাজ ছাড়া অন্য সময়ে বিভিন্ন জাতীয় ও জাতিগত পটভূমির মুসলিম গাইডরা এই সফর পরিচালনা করেন।
এটি দুবাইয়ের অল্প কয়েকটি মসজিদের মধ্যে একটি, যা অমুসলিম দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত।