“তাদের উচিত শত্রুর ষড়যন্ত্র ও বাধাদানের বিপরীতে দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করা, আর যদি তারা ফিলিস্তিনি ভাইদের পাশে দাঁড়াতে অক্ষম হয়, তবে পদত্যাগ করা উচিত।”
ইকনার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইয়েমেনের আল-মাসিরা টেলিভিশন চ্যানেল থেকে উদ্ধৃত হয়ে বলা হয়েছে যে, লিবিয়ার মুফতি জোর দিয়ে বলেন:
“মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে শান্তি নিয়ে কথা বলেন, অথচ নিরপরাধ মানুষ হত্যাকাণ্ড এবং গাজায় ইসরাইলের যুদ্ধবিমান ও ড্রোন হামলার তীব্রতা বৃদ্ধির দিকে চোখ বন্ধ করে রাখেন।”
গারিয়ানি মধ্যস্থতাকারীদের উদ্দেশে প্রশ্ন করেন:
“যদি আপনারা গাজার নির্যাতিত মানুষের জন্য নিশ্চয়তা দিতে অস্বীকার করেন, তবে এই আলোচনায় আপনাদের ভূমিকা কী? যা ঘটছে, তা আপনাদের এবং আপনাদের শাসকদের জন্য কলঙ্ক; এমন কলঙ্ক যা কিছুতেই মুছে যাবে না।”
লিবিয়ার গ্র্যান্ড মুফতি শেষে জোর দিয়ে বলেন:
“পুরো ইসলামি বিশ্বের কর্তব্য হলো, গাজার অবরোধ ভাঙার জন্য শত শত, হাজার হাজার জাহাজ পাঠানো। মুসলমানদের জন্য লজ্জার বিষয় যে, তারা গাজায় ইসরাইলের নৃশংসতা দেখে যাচ্ছে অথচ কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।”
আল-মাসিরা নিউজ নেটওয়ার্কের প্রতিবেদন অনুযায়ী, তিনি এর আগে প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায়ও জোর দিয়ে বলেছিলেন:
“মিসর ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সেই আরব দেশগুলোর অন্তর্ভুক্ত যারা শত্রু (সায়োনিস্ট) শক্তির প্রয়োজন মেটাতে ভূমিকা রাখছে।”
গারিয়ানি মিসরের বন্দরসমূহের ভূমিকা উল্লেখ করে বলেন, এগুলো সায়োনিস্ট শাসনের অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জামবাহী জাহাজকে সেবা প্রদান করছে। তিনি এ ঘটনাকে অত্যন্ত দুঃখজনক বলে আখ্যায়িত করে আরও বলেন:
“যেখানে ইউরোপীয় দেশগুলো সায়োনিস্ট শাসনের সঙ্গে সহযোগিতা থেকে বিরত রয়েছে, সেখানে মিসর, আমিরাত এবং অন্যান্য আরব দেশ, যারা এই সায়োনিস্ট শাসনের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছে, তারা উল্টো এ শাসনের জাহাজগুলোকে সেবা প্রদান করছে।”