IQNA

ব্যাংককের ইরানি সাংস্কৃতিক পরামর্শদাতা ব্যাখ্যা করেছেন:

থাইল্যান্ডের প্রথম মুসলিম নারী মন্ত্রী নিয়োগ – সাংস্কৃতিক ও সামাজিক নীতিতে নতুন অধ্যায়ের সূচনা

20:35 - October 02, 2025
সংবাদ: 3478177
ইকনা- নতুন ক্যাবিনেটে থাইল্যান্ডের প্রথম মুসলিম নারীকে সংস্কৃতি মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, যা দেশটির সাংস্কৃতিক ও সামাজিক নীতিতে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের শাসন ব্যবস্থায় অংশগ্রহণ বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিচ্ছে।

ইকনার থাইল্যান্ড প্রতিনিধি জানায়, মুসলিম নারী, রাজনীতিবিদ ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জুবাইদা থাইসেত (Sabida Thaiseth)-কে নতুন প্রধানমন্ত্রী আনুতিন চানভিরাকুল তাঁর মন্ত্রিসভায় সংস্কৃতি মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন।

থাইল্যান্ডে নিযুক্ত ইরানি কালচারাল কাউন্সেলর এক বিশেষ নোটে এই নিয়োগের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করেছেন। সেখানে বলা হয়েছে:

·         জন্ম: ১১ অক্টোবর ১৯৮৪

·         শিক্ষা: আইন বিষয়ে থাইল্যান্ডের আসাম্পশন ইউনিভার্সিটি এবং উচ্চশিক্ষা যুক্তরাজ্যে

·         রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের উপমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

·         পারিবারিক পটভূমি: প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবার; তাঁর পিতা চাদা থাইসেত ছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী ও শীর্ষস্থানীয় প্রাদেশিক রাজনীতিবিদ।

তাঁর নিয়োগকে থাইল্যান্ডের সাম্প্রতিক সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক ঘটনাগুলোর একটি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী চানভিরাকুলের লক্ষ্য হলো একটি বৈচিত্র্যময় ও অন্তর্ভুক্তিমূলক মন্ত্রিসভা গঠন করা, যেখানে নারী ও সংখ্যালঘুদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হবে।দক্ষিণ থাইল্যান্ডের মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যমান পরিচয়, অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তাজনিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এই নিয়োগকে তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ মনে করা হচ্ছে।

সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়কে এখন একদিকে ঐতিহ্য ও শিল্পকলার সংরক্ষণ এবং অন্যদিকে নতুন প্রজন্মের সাংস্কৃতিক চাহিদা পূরণের দায়িত্ব নিতে হবে। জুবাইদা তাঁর আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় অভিজ্ঞতা দিয়ে সাংস্কৃতিক বহুমুখিতা, ভাষাগত বৈচিত্র্য ও আধুনিকতার সঙ্গে ঐতিহ্যের সমন্বয় ঘটাতে সক্ষম বলে আশা করা হচ্ছে। তাঁর অর্থনৈতিক অভিজ্ঞতা সৃজনশীল শিল্প ও সাংস্কৃতিক অর্থনীতিকে প্রসারিত করতে সহায়তা করবে। বিশেষত থাইল্যান্ডের বৈশ্বিক পর্যটন খাতে সাংস্কৃতিক পর্যটনকে আরও জোরদার করা সম্ভব হবে।

জুবাইদার এই পদোন্নতি তাইল্যান্ডের মুসলিম নারী ও মেয়েদের জন্য এক প্রেরণাদায়ক দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এটি প্রমাণ করছে যে লিঙ্গ ও ধর্মীয় প্রতিবন্ধকতা হ্রাস পাচ্ছে এবং নারীদের জন্য রাজনৈতিক অংশগ্রহণের নতুন দ্বার উন্মুক্ত হচ্ছে।

যদি তিনি সফলভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারেন, তবে ভবিষ্যতে নারীদের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক অংশগ্রহণ আরও প্রসারিত হবে এবং দীর্ঘমেয়াদে সমাজে নারীর ভূমিকা সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ঘটবে। 4308335#

 

 

captcha