সিএনএনের বরাতে ইকনা জানায়, আল-আনসারি বলেন: “কাতার সবসময় বিশ্বাস করেছে যে ফিলিস্তিন ইস্যু একটি আরব সমস্যা, যা আরব দেশগুলো ও ইসরায়েলের পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “আমরা সবসময়ই বলেছি, ফিলিস্তিন প্রশ্নে কোনো সমাধানে পৌঁছানো না গেলে, অঞ্চলে পূর্ণাঙ্গ শান্তি কল্পনা করা অত্যন্ত কঠিন।”
কাতার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আরও উল্লেখ করেন, “স্পষ্ট যে, শান্তি কেবল দুই পক্ষের মধ্যে কোনো চুক্তি নয়, বরং এটি একটি আঞ্চলিক নিরাপত্তা কাঠামো—যার মূল ও ভিত্তি হলো ফিলিস্তিন সমস্যার সমাধান।”
তিনি বলেন, কাতারের অবস্থান আব্রাহাম অ্যাকর্ডস-এ যোগ দেওয়া বা ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ প্রসঙ্গে সৌদি আরবের মতোই; অর্থাৎ ফিলিস্তিন সমস্যা সমাধানকেই শান্তির শর্ত হিসেবে ধরা হয়েছে।
আল-আনসারি জোর দিয়ে বলেন, সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর পর এই অবস্থান পুরো অঞ্চলের অভিন্ন মত হয়ে উঠেছে।
অন্যদিকে, কাতার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাম্প্রতিক ইসরায়েলি হামলার কথাও উল্লেখ করেন। তিনি জানান, এই হামলাটি দোহায় অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর ঘটেছে, যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বন্দি বিনিময় প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চলছিল। হামলাটি ইসরায়েলের আলোচনার আন্তরিকতা নিয়ে সন্দেহ তৈরি করেছে।
তিনি ব্যাখ্যা করেন, হামাস প্রতিনিধিদলের থাকার স্থানে বোমাবর্ষণটি এমন একদিন পর চালানো হয়, যেদিন কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুররহমান আল থানি, হামাস প্রতিনিধিদল প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের প্রস্তাব তাদের হাতে তুলে দিয়ে দ্রুত জবাব দিতে বলেন। 4305940#