কিছু দিন আগে কাতারে ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের শীর্ষ নেতাদের বৈঠকস্থলে হামলা চালায় দখলদার ইসরায়েল। ঐ হামলায় ফিলিস্তিন ও কাতারের কয়েক জন নাগরিক নিহত হন, তবে হামাসের শীর্ষ নেতারা বেঁচে যান। এর আগে ইরানে মার্কিন হামলার জবাবে কাতারে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল তেহরান।
কাতারে রয়েছে পশ্চিম এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সামরিক ঘাঁটি আল-উদেইদ। সেখানে হামলা হলে মার্কিন সেনাদের নিরাপত্তা বিপন্ন হয়। এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্র ও কাতারের মধ্যে গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা ক্ষেত্রে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা রয়েছে।
দখলদার ইসরায়েল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জানিয়েই কাতারে হামাসের নেতাদের ওপর হামলা করেছিল, কিন্তু ট্রাম্প তাতে বাধা দেননি। যদি ট্রাম্প সত্যিই কাতারের নিরাপত্তার বিষয়ে আন্তরিক হতেন, তাহলে ইসরায়েলকে বিমান হামলা করতে দিতেন না। সেই হামলায় কাতারের নিরাপত্তা কর্মকর্তাও নিহত হয়েছেন।
এ অবস্থায় ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের উদ্দেশ্যটা ইরান কেন্দ্রিক বলেই মনে হচ্ছে। ভবিষ্যতে ইরান শত্রুদের হামলার জবাবে কাতারে মার্কিন ঘাঁটিতে আক্রমণ করলে এই নির্বাহী আদেশকে অজুহাত করে ইরানে আঘাত হানার সুযোগ নেবেন ট্রাম্প। এর মাধ্যমে ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক প্রতিক্রিয়ার একটা বৈধতা তৈরি করে রাখার চেষ্টা করলেন ট্রাম্প।
অনেক বিশ্লেষকই মনে করেন, ইরানের ওপর সামরিকভাবে চাপ দেওয়ার কৌশল হিসেবেই এই নির্বাহী আদেশ জারি করা হয়েছে। কাতারের নিরাপত্তা রক্ষা করা বা কাতারের স্বার্থ নিশ্চিত রাখা ট্রাম্পের উদ্দেশ্য নয়।# পার্সটুডে