ইকনা সূত্রে সদী আল-বালাদ-এর বরাত দিয়ে জানানো হয়, মিশরের রেডিও ও টেলিভিশনের ক্বারি আহমদ নাঈনাঈ এক বিবৃতিতে তাঁর ভক্ত ও সাধারণ মানুষের উদ্দেশে স্পষ্ট করে বলেন, তিনি যে উৎসাহব্যঞ্জক বা মাঝে মাঝে প্রশংসাসূচক কথা বলেন, তা সহকর্মীদের প্রতিও হয়ে থাকে এবং এটি তাঁর একটি উত্তম অভ্যাসের অংশ।
তিনি বলেন, এসব প্রশংসার উদ্দেশ্য আনন্দ দেওয়া ও প্রতিভাদের মধ্যে উৎসাহ জাগানো—এটি কোনো বৈজ্ঞানিক মূল্যায়ন, দক্ষতার মানদণ্ড বা শ্রেষ্ঠত্বের ঘোষণা নয়। যেমন আমরা শিশু বা কোনো ক্ষেত্রের নবীনদেরও উৎসাহ দিই।
আহমদ নাঈনাঈ আরও বলেন,
“প্রশংসার লক্ষ্য হলো সহায়তা ও প্রেরণা দেওয়া, যাতে ভুল থাকা সত্ত্বেও প্রতিভাধারীরা এগিয়ে যেতে পারে; এটি কোনো আনুষ্ঠানিক অনুমোদন বা তিলাওয়াতের লাইসেন্স নয়।”
তিনি জোর দিয়ে বলেন, এই ধরণের প্রশংসা সাধারণত সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎ বা ফোনালাপে হয়ে থাকে, যা কেবল বন্ধুত্বপূর্ণ কথোপকথন—এটিকে কোনো আনুষ্ঠানিক অবস্থান বা দলিলভিত্তিক মতামত হিসেবে ধরা যাবে না।
তিনি আরও স্পষ্ট করেন যে, সহকর্মী বা শিক্ষার্থীদের প্রতি যেকোনো ধরণের অপব্যবহার বা আত্মপ্রচার তিনি সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাখ্যান করেন—বিশেষ করে যখন তা এমন ব্যক্তিদের পক্ষ থেকে আসে, যারা বৈজ্ঞানিক বা কারিগরি দিক থেকে যোগ্য নন, অথবা নিজের জন্য অবাস্তব উপাধি ব্যবহার করেন।
আহমদ নাঈনাঈ আরও জানান, তাঁর নাম ব্যবহার করে কিংবা তাঁর কোনো প্রশংসাসূচক বক্তব্যকে বিকৃত করে অন্য উদ্দেশ্যে কাজে লাগানোর যে কোনো প্রচেষ্টা তিনি অস্বীকার করেন। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, তাঁর দেওয়া প্রশংসা বা উৎসাহ কখনোই অন্য কোনো লক্ষ্য অর্জনের জন্য বা কোনো লেনদেনের ভিত্তিতে করা হয়নি। 4308011#