
ইকনা রিপোর্ট: আল-জাজিরার বরাতে ফরাসি সংবাদমাধ্যম মেডিয়াপার্ট জানিয়েছে, ওরলিয়াঁর নিকটবর্তী গারগো মসজিদ ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর সম্প্রতি ডাকযোগে একটি নতুন হুমকিপত্র পেয়েছে, যেখানে আবারও মসজিদটি আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে।
এই হুমকিপত্রটি ২০২৫ সালের ২৮ অক্টোবর গারগো ফ্রান্স-তুর্কি কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন–এর ডাকবাক্সে পৌঁছায়, যা মসজিদটির মালিক ও পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালেও একই মসজিদে একটি হাতে লেখা চিঠি পাঠানো হয়েছিল, যেখানে লেখা ছিল— “তুর্কিরা! ফ্রান্স ছেড়ে চলে যাও।”
অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য আলি ওজতুর্ক বলেন, “আমরা খুবই উদ্বিগ্ন। আগের বারও যখন এ ধরনের চিঠি পেয়েছিলাম, তখনই মসজিদে আগুন লাগানো হয়েছিল। তাই এবারও আমরা বিষয়টিকে হালকাভাবে নিতে পারি না। মনে হচ্ছে আমাদের আশেপাশেই কিছু মানুষ আছে যারা মুসলিম সমাজের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে মুসলমানরা সংগঠনের মূল কার্যালয়ে একটি অস্থায়ী হলে নামাজ আদায় করে আসছেন। প্রতিষ্ঠানটি সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে যাওয়া মূল নামাজঘরের পরিবর্তে একটি নতুন হল নির্মাণের অনুমতি চেয়েছে।
অগ্নিকাণ্ডের এক বছর পরও এখন পর্যন্ত ঘটনার সুনির্দিষ্ট কারণ বা দায়ী ব্যক্তিদের বিষয়ে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
ওজতুর্ক বলেন, “এটা অবিশ্বাস্য যে এত সময় পেরিয়ে গেলেও তদন্তে কোনো অগ্রগতি হয়নি। এখনো যদি আমরা এমন হুমকি পাই, তাহলে বুঝতে হবে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।”
ওরলিয়াঁর পাবলিক প্রসিকিউটর কার্যালয় তদন্ত শুরু করেছে, তবে রিপোর্ট অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত অপরাধীদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
মেডিয়াপার্ট তার প্রতিবেদনে প্রশ্ন তুলেছে — এই ইসলামবিদ্বেষী, বানানভুলে ভরা চিঠিগুলোর পেছনে কারা আছে?
ওজতুর্কের উদ্ধৃতি দিয়ে লেখা হয়, “স্পষ্টতই কিছু লোক আছে যারা মুসলিম সমাজে বিভেদ ও আতঙ্ক সৃষ্টি করতে চায়।”
প্রসিকিউটর জানিয়েছেন, “আমরা ভুক্তভোগীদের অস্থিরতা বুঝতে পারছি, তবে তদন্ত স্বাভাবিক গতিতে এবং সর্বোচ্চ গুরুত্বসহকারে চলছে।” 4314309#